DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

পদ্মা সেতু দূর্নীতিঃ কানাডার আদালত থেকে আপাতত রেহাই পেলেন আবুল হাসান চৌধুরী

padma-abul-hasan-chyবিদেশি নাগরিক হওয়ায় কানাডার আদালত পদ্মাসেতু দুর্নীতির ঘটনায় অভিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরীকে অব্যাহতি দিয়েছেন। বিদেশি নাগরিক হওয়ায় এবং সরাসরি তার ওপর কর্তৃত্ব না থাকায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সাক্ষ্য-প্রমাণ থাকলেও তা স্থগিত করেন কানাডার অন্টারিও সুপরিয়ির কোর্ট অব জাস্টিসের আদালত।

তবে আদালত বলেছেন, ভবিষ্যতে কখনো কানাডা আবুল হাসানের ওপর এখতিয়ার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে (কখনও কানাডার নাগরিকত্ব নিলে) প্রসিকিউশন আদালতের এ সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। উল্লেখ্য, রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) এ দুর্নীতির কারণে এসএনসি-লাভালিনের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেসকে গ্রেপ্তার করে শর্তসাপেক্ষে ছেড়ে দেয়া হয়।

তারা কানাডার বিদেশী সরকারি কর্মকর্তাদের দুর্নীতি বিষয়ক আইনের (করাপশন অব ফরেন পাবলিক অফিসিয়ালস অ্যাক্ট) অধীনে কেভিন ওয়ালেস, জুলফিকার আলী ভূঁইয়া ও বাংলাদেশের প্রথম সারির লবিস্ট আবুল হাসান চৌধুরীকে অভিযুক্ত করেছিল। এছাড়া, এসএনসি-লাভালিনের নিম্ন পর্যায়ের দু’ কর্মচারী মোহাম্মদ ইসমাইল ও রমেশ শাহ’র বিরুদ্ধে এ দুর্নীতির অভিযোগে মামলা চলছে টরন্টোতে।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পদ্মা সেতু বহুমুখী প্রকল্পের ৫ কোটি ডলারের সুপারভাইজিং কন্ট্রাক্ট এসএনসি-লাভালিনকে পাইয়ে দিতে তারা ঘুষের সঙ্গে জড়িত ছিল। এর প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংক তদন্ত করে। বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ায় প্রকল্পে দুর্নীতি তদন্তের কাজ করে বিশ্বব্যাংক। এরপর বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন প্রকল্পে এক দশকের জন্য নিষিদ্ধ করা হয় এসএনসি-লাভালিনকে। তারা বিশ্বব্যাংকের ওই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছে।

ওদিকে এসএনসি-লাভালিন গ্রুপের যে অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে কেভিন ওয়ালেস দায়িত্ব পালন করেন তার নাম এসএনসি-লাভালিন ইন্টারন্যাশনাল ইন-করপোরেশন (এসএলআইইই)। মামলার বিচার শুরু হয় গত ৭ এপ্রিল। বিশ্বব্যাংক পরিচালিত তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্বব্যাংক, জাইকা, এডিবি, আইডিবিসহ অর্থায়নকারী সংস্থাগুলো তাদের প্রতিশ্রত ঋণসহায়তা বাতিল করেছে। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!