DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বসছে বিপিএলের তৃতীয় আসর

bpl-l_044563121টি-২০ বিশ্বকাপের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো খেলা নেই। তবে এই ফাঁকা সূচিতেও ক্রিকেটবিশ্বের আকর্ষণের কেন্দ্রে রয়েছে ভারতের ঘরোয়া টি-২০ লিগ আইপিএল। দুবাই এ বসেছে আইপিএলের সপ্তম আসর। অথচ এই আইপিএলের আদলে বাংলাদেশে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের টি-২০’র তাপ-চাপ, নির্যাস গ্রহণের আশ্রয় ছিল বিপিএল। দুটি আসর হলেও এখন তা বন্ধ রয়েছে।

২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছিল বিপিএলের দ্বিতীয় আসর। ওই আসরের ফিক্সিং বিতর্ক বাক্সবন্দি করে দিয়েছে বিপিএল। তবে আবারও হবে দেশের সবচেয়ে জমকালো, বিগ বাজেটের এই টুর্নামেন্ট। এক বছর ১০ মাস পর হতে পারে এই টি-২০ টুর্নামেন্ট। এ বছরের ডিসেম্বরে বা আগামী বছরের জানুয়ারিতেই বসতে পারে বিপিএলের তৃতীয় আসর।

বিসিবি পরিচালক ও বিপিএলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক গতাকাল জানিয়েছেন, ‘সামনে সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে আমরা বিপিএল করতে পারি।’ বিপিএলের তৃতীয় আসর আয়োজন এবং সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘বিপিএল নিয়ে আমাদের একটা প্ল্যান আছে।

এখন যেহেতু ট্রাইব্যুনাল চলছে আমরা তো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। ট্রাইব্যুনালের রায়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কী দোষ, দল থাকবে কি থাকবে না, কে দোষী এটা তো আমরা চূড়ান্ত না পেলে কিছু বলতে পারি না। তারপরও আমাদের বোর্ডের প্ল্যান আছে। ইতিমধ্যে আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। গেম অনের কাছে টাকা পাওনা আছে। গেম অন ১০ কোটি টাকার চেক দিয়েছে। আড়াই কোটি টাকা বিসিবির অ্যাকাউন্টেও জমা হয়ে গেছে। আরও আড়াই কোটি ২০ এপ্রিল জমা হবে। বাকি পাঁচ কোটিরও তারিখ দেয়া আছে। এপ্রিলের শেষ বা মের শুরুতে দিয়ে দেবে।

দলগুলোর কাছে পাওনা আছে। দলগুলো টাকা দিতে রাজি হয়েছিল। তারপর তো মামলা হয়ে যাওয়ায় এগুতে পারিনি। সামনে এগুলো নিয়ে কাজ করব।’ দেশি-বিদেশি ক্রিকেটারদের পেমেন্টও বিপিএলের জন্য গঠিত বিসিবির দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনাল শেষ হওয়া পর্যন্ত আটকে থাকছে। ট্রাইব্যুনাল শেষ হলেই পুরোদমে কার্যক্রম শুরু হবে। তবে তৃতীয় আসরে নাও দেখা যেতে পারে আগের দুই আসরের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসকে।

কারণ ট্রাইব্যুনালের রায়ে দলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরী দোষী হয়েছেন। এই রায় বহাল থাকলে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস বাদ পড়তেই পারে। মল্লিক এ বিষয়ে বলেন, ‘আসলে এ বিষয়টি দেখতে হবে। আমাদের আইনজীবী আছেন। কোনো দলের মালিকপক্ষের কেউ দোষী হলে এবং তার শাস্তি হলে দল অংশ নিতে পারবে কি না এ বিষয়টি আইনজীবী দেখবেন।’

বিপিএল আয়োজনে এখন বাধা দুর্নীতি দমন ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম। সেটিও সহসা শেষ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। শুরুতে নয়জন হলেও পরে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকার অভিযুক্তের সংখ্যা একজন বেড়েছে। ইতিমধ্যে যারা নিজেদের নির্দোষ বলে আবেদন করেছিল ট্রাইব্যুনালে তাদের রায় দেয়া হয়েছে। ছয়জন নির্দোষ হয়েছেন।

তারা হলেন ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল, মাহবুবুল আলম রবিন, মোহাম্মদ রফিক, ড্যারেন স্টিভেন্স, ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী গৌরব রাওয়াত। দোষী হয়েছেন ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিহাব চৌধুরী।

আর স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করা তিনজন হলেন মোহাম্মদ আশরাফুল, কৌশল লুকারাচ্চি ও লু ভিনসেন্ট। এখন এই চারজনের শাস্তি কী পরিমাণ হবে, তা নিয়েই এখন ট্রাইব্যুনাল কাজ করছে। এ মাসের শেষ দিকেই আবার বসতে পারে ট্রাইব্যুনাল। গতকাল এমনটাই জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের সদস্য শাকিল কাশেম।

তিনি বলেন, ‘আমরা প্রসিকিউশনের (আকসু) কাছে আরও কিছু কাগজপত্র চেয়েছি, ওটা আসুক। এ মাসের শেষের দিকে আমরা বসতে চাচ্ছি। আমরা যারা দোষী নয় তাদের রায়টা দিয়ে দিয়েছি। এখন যারা দোষী তাদের শাস্তি কী হবে তা নিয়ে কাজ করছি। এটা হয়ে গেলে শেষ হবে কার্যক্রম।’ তবে ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বাড়তে পারে যদি আইসিসি মানে আকসু ও বিসিবি ট্রাইব্যুনালের চূড়ান্ত রায়ের পর আপিল করে। আর তাদের আপিল করার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ গত ফেব্রুয়ারিতে দেয়া ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছিল দুটি সংস্থাই। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!