DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

কাল টি-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালঃ ট্রফিটি নিশ্চিত ভাবে উপমহাদেশেই থাকছে

image_120967আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছিল, আগের দিনের মতো গতকালও ঝড় এসে ভর করতে পারে। কিন্তু খেলায় প্রাকৃতিক ঝড় কোনো প্রভাব ফেলতে পারলো না। তবে ঝড় তুললেন দু দলেরই ব্যাটসম্যানরা। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানরা শেষ দিকে দারুণ ঝড় তুলে এই টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৭২ রান করে ফেললেন। জবাবে প্রথম থেকেই ঝড় তুলতে থাকা ভারত ৫ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে চলে গেলো ফাইনালে। 



ভারত এ জয়ের পর আগামীকাল রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় একই ভেন্যুতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফাইনালে মুখোমুখি হবে।



এই সেমিফাইনালে পরাজয়ের ভেতর দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের দুঃখজনক যাত্রা ধরে রাখলো। এই নিয়ে ১৮টি আইসিসি টুর্নামেন্টের মধ্যে ১০টিরই সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নিলো তারা; একবার মাত্র সেমিফাইনাল পার করতে পেরেছে এই দলটি। 



দক্ষিণ আফ্রিকার ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভারত কখনোই কক্ষচ্যুত হয়নি। রোহিত শর্মার সঙ্গে ইনিংস শুরু করতে নামা আজিঙ্কা রাহানে ৩০ বলে ৩২ রানের এক ইনিংস খেলে এগিয়ে দেন দলকে। শর্মা নিজে ১৩ বলে ২৪ রান করে ফিরে গেলে দলের মূল চালিকা হয়ে ওঠেন বিরাট কোহলি। অন্য প্রান্তে যুবরাজ সিংও ১৭ বলে ১৮ রান তুলে দিব্যি দলকে জয়ের পথে রাখেন। 



জয়ের পথে ভারতকে নিয়ে যাওয়ার পথে ১০ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলা রায়নাই বড় একটা ভূমিকা রাখেন। তবে আসল কাজটা অবশ্যই করেছেন সেই কোহলি। ৪৪ বলে ৭২ রানের এক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে তবে মাঠ ছাড়েন তিনি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা একদমই ভালো করতে পারেনি। তারপরও ছয় ওভারে নেয়া চল্লিশ রানই হয়ে গেল ভারতের বিপক্ষে এই টুর্নামেন্টে পাওয়ার প্লেতে যেকোন দলের করা সর্বোচ্চ রান।



এরপর কিছুটা সময় চললো ধীরগতির ব্যাটিং। রান রেট আস্তে আস্তে কমতে শুরু করলো। আসল ঝড়টা শুরু হল ১২ তম ওভারে গিয়ে। সুরেশ রায়নার করা সেই ওভারে আসলো ১৬ রান। পরের ওভারে সতেরো। ১৪ তম ওভারে গিয়ে ডু প্লেসিস যখন আউট হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার রান তখন ১১৫। বড় স্কোর করার সব রকম রসদ প্রস্তুত।



এর মাঝে নিজের নামের পাশেও বড় একটা অংক যোগ করা হয়ে গেছে ডু প্লেসিসের। স্লো-ওভার রেটের ঝামেলায় শেষ ম্যাচ খেলতে না পারা এই খেলোয়াড় গতকাল ৪১ বলে করলেন ৫৮ রান। ইনিংসে ছিল পাঁচটি চার ও দুইটি ছক্কা।




বড় স্কোর গড়ার বাকি কাজটা করে ফেলেন জেপি ডুমিনি ও ডেভিড মিলার। এবি ডি ভিলিয়ার্স মাত্র ১০ রান করে বিদায় নিলে জুটি বাঁধেন এই দুইজন। শেষ ২৭ বলে এদের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। আর তাতেই হয়ে গেল ১৭২ রানের লড়াকু স্কোর।



গোটা টুর্নামেন্টের আলোচিত বোলার অমিত মিশ্র গতকাল ছিলেন নিষ্প্রভ। তিন ওভার বল করে দেন ৩৬ রান। তবে একই রকম উজ্জ্বল ছিলেন রবীচন্দ্রন অশ্বিন। চার ওভারে ২২ রান দিয়ে পেয়েছেন তিনটি উইকেট।

 

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!