পাকিস্তানের সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফ শক্তিশালী একটি বোমা হামলা থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাওয়ালপিন্ডির সামরিক হাসপাতাল থেকে ফেরার সময় একটি সেতু দিয়ে মোশাররফের গাড়িবহর পার হওয়ার কয়েক মিনিট আগে শক্তিশালী বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।
তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর বিবিসি ও দ্য ডনের। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও সাবেক প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করেই বোমাটির বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। রাওয়ালপিণ্ডির সামরিক হাসপাতাল থেকে ইসলামাবাদের কাছে নিজের খামার বাড়িতে ফেরার পথে ফৈজাবাদ সেতুর ওপর বিস্ফোরণটি ঘটানো হয়। সেতুটি পার হওয়ার আগে না পরে বোমটি বিস্ফোরিত হয়েছে।
এটি নিয়ে কিছুটা ধোয়াশা থাকলেও এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সেতু পার হওয়ার আগেই বোমাটি বিস্ফোরিত হয়। জানুয়ারিতে দেশদ্রোহিতার অভিযোগের শুনানি চলাকালীন আদালতে যাওয়ার পথে বুকের ব্যথা নিয়ে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। তারপর থেকে হাসপাতালে যাওয়া-আসার মধ্যে আছেন তিনি। জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত নিয়াজি বলেন, সেতুটির নিচে একটি পাইপের মধ্যে চার থেকে ৬ কেজি বিস্ফোরক বস্তু পেতে রাখা হয়েছিল।
সাবেক প্রেসিডেন্ট সেতুটি পার হওয়ার প্রায় ২০ মিনিট আগে সেটি বিস্ফোরিত হয়। বিস্ফোরণের পর অন্যপথে মোশাররফকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান তার মুখপাত্র আশিক ইসহাক। এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ইসলামাবাদ পুলিশের মুখপাত্র মুহাম্মদ নাঈম এ ঘটনার খবর নিশ্চিত করে জানান, বোমা নিষ্ক্রিয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত একটি দল বিস্ফোরণের পর স্থানটি পরিষ্কার করে ফেলে। তিনি আরও জানান, মোশাররফকে লক্ষ্য করেই বোমাটি পেতে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, এ নিয়ে সাবেক এই জেনারেল চারবার হামলার শিকার হলেন। এর আগে তিনি ক্ষমতায় থাকার সময় তিনবার হামলার শিকার হন। সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে চলতি সপ্তাহের প্রথমদিকে সাবেক এই সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার পাঁচটি অভিযোগ গঠন করা হয়। যদিও মোশাররফ তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার এগুলোকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেছেন।