দেশে বড় বড় কোম্পানি থাকতে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের জার্সিতে সাহারা গ্রুপের বিজ্ঞাপন কেন- এ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংসদ অধিবেশন
গতকাল দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম মাইদুল ইসলাম এ প্রশ্ন তোলেন।
সংসদে একেএম মাইদুল ইসলাম প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে বড় বড় কোম্পানি থাকতে জার্সিতে সাহারা গ্রুপের বিজ্ঞাপন লেখার মানে কি? বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে যে সাহারা খাতুনের মামলা মোকদ্দমা হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে এই সাহারা জার্সি পরিবর্তনের করবেন কিনা? না করলে কেন? তার কারণ কি? সাহারার বদনাম নিয়ে আমরা সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াব কেন?’
এ প্রশ্নের বিপরীতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টিম স্পন্সর নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় স্পন্সর আহ্বান করা হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সাহারার সঙ্গে জাতীয় ক্রিকেট দলের টিম স্পন্সর হিসেবে চার বছরের জন্য (২০১২-১৫) চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে। এ শর্ত অনুযায়ী আগামী ২০১৫ সাল পর্যন্ত সাহারার নাম জার্সিতে লেখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
‘স্থানীয় সেসব বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ টেন্ডারে অংশ নিয়েছিল তাদের প্রদত্ত আর্থিক প্রস্তাব সাহারার প্রস্তাবের অর্ধেকেরও কম ছিল। তবে বাংলাদেশ লেখার নিচে সাহারা ছোট করে লেখা থাকবে’ বলেও জানান মন্ত্রী।
সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-৩) ও কাজী নাবিল আহমেদের (যশোর-৩) পৃথক দুটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও সিরিজ ম্যাচ খেলার পেছনে সরকারের খরচ হয়েছে ১০ কোটি টাকারও বেশি। অপরদিকে জাতীয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের থোক বরাদ্দ হিসেবে ১৭ লাখ ও প্রশিক্ষণের জন্য ১০ লাখ টাকা প্রতিবছর একটি থোক বরাদ্দ দেয়া হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল দেশ ও বিদেশে যেসব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বা সিরিজে অংশ নেয় তার পুরো ব্যয়ভার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নির্বাহ করে থাকে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ক্রিকেট দল দেশ ও বিদেশে প্রতিযোগিতামূলক টেস্ট ও ওয়ানডের যেসব ম্যাচে অংশ নিয়েছে সেসব ম্যাচের জন্য সর্বমোট ১০ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ৯৪১ টাকা খরচ হয়েছে।’
ফুটবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্রীড়া পরিষদ ফুটবল দলগুলোর খরচ বহনের জন্য প্রতি বছর একটি থোক বরাদ্দ দিয়ে থাকে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও ফুটবল দলগুলোর প্রশিক্ষণের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রিমিয়ার লীগ, পাইওনিয়ার লীগসহ বিভিন্ন লীগ খেলার সময়েও ক্রীড়া পরিষদ অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে। খেলা চলাকালীন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামসহ অন্যান্য স্টেডিয়ামগুলো বিনামূল্যে ভেন্যু হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে। এসব স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিমাসে ২ লাখ টাকা খরচ হয়।’
আবদুল লতিফ (চট্টগ্রাম-১১) ‘পাতানো ম্যাচ (ফিক্সিং) বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ’ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া যে কোনো ইভেন্টে এন্টি করাপশন কোড প্রয়োগ বাধ্যতামূলক। যে কোনো ধরনের ম্যাচ ফিক্সিং বন্ধে ইতিমধ্যে বিসিবি ডমোস্টিক এন্টি করাপশন কোড প্রবর্তন করেছে। এছাড়া বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী এন্টি করাপশন ও সিকিউরিটি ইউনিট হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ নিয়োজিত থাকেন। ২০১৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বিপিএলে ফিক্সিং রোধে আইসিসির এ সিকিউরিটি ইউনিট বিসিবি নিয়োগ দেয়। এছাড়া বিভিন্ন ক্রিকেট দল, ক্লাব ও সংস্থার খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে সচেতনতা রোধে নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে।
গতকাল দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য একেএম মাইদুল ইসলাম এ প্রশ্ন তোলেন।
সংসদে একেএম মাইদুল ইসলাম প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশে বড় বড় কোম্পানি থাকতে জার্সিতে সাহারা গ্রুপের বিজ্ঞাপন লেখার মানে কি? বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় দেখা যাচ্ছে যে সাহারা খাতুনের মামলা মোকদ্দমা হচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে অনতিবিলম্বে এই সাহারা জার্সি পরিবর্তনের করবেন কিনা? না করলে কেন? তার কারণ কি? সাহারার বদনাম নিয়ে আমরা সারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াব কেন?’
এ প্রশ্নের বিপরীতে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টিম স্পন্সর নিয়োগের লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় স্পন্সর আহ্বান করা হয়েছে। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে সাহারার সঙ্গে জাতীয় ক্রিকেট দলের টিম স্পন্সর হিসেবে চার বছরের জন্য (২০১২-১৫) চুক্তিবদ্ধ করা হয়েছে। এ শর্ত অনুযায়ী আগামী ২০১৫ সাল পর্যন্ত সাহারার নাম জার্সিতে লেখার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
‘স্থানীয় সেসব বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো এ টেন্ডারে অংশ নিয়েছিল তাদের প্রদত্ত আর্থিক প্রস্তাব সাহারার প্রস্তাবের অর্ধেকেরও কম ছিল। তবে বাংলাদেশ লেখার নিচে সাহারা ছোট করে লেখা থাকবে’ বলেও জানান মন্ত্রী।
সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু (নারায়ণগঞ্জ-৩) ও কাজী নাবিল আহমেদের (যশোর-৩) পৃথক দুটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত ২০১২-১৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বিভিন্ন টুর্নামেন্ট ও সিরিজ ম্যাচ খেলার পেছনে সরকারের খরচ হয়েছে ১০ কোটি টাকারও বেশি। অপরদিকে জাতীয় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের থোক বরাদ্দ হিসেবে ১৭ লাখ ও প্রশিক্ষণের জন্য ১০ লাখ টাকা প্রতিবছর একটি থোক বরাদ্দ দেয়া হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল দেশ ও বিদেশে যেসব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বা সিরিজে অংশ নেয় তার পুরো ব্যয়ভার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নির্বাহ করে থাকে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে ক্রিকেট দল দেশ ও বিদেশে প্রতিযোগিতামূলক টেস্ট ও ওয়ানডের যেসব ম্যাচে অংশ নিয়েছে সেসব ম্যাচের জন্য সর্বমোট ১০ কোটি ২৭ লাখ ৭০ হাজার ৯৪১ টাকা খরচ হয়েছে।’
ফুটবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ক্রীড়া পরিষদ ফুটবল দলগুলোর খরচ বহনের জন্য প্রতি বছর একটি থোক বরাদ্দ দিয়ে থাকে। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও ফুটবল দলগুলোর প্রশিক্ষণের জন্য ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রিমিয়ার লীগ, পাইওনিয়ার লীগসহ বিভিন্ন লীগ খেলার সময়েও ক্রীড়া পরিষদ অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে। খেলা চলাকালীন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামসহ অন্যান্য স্টেডিয়ামগুলো বিনামূল্যে ভেন্যু হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে। এসব স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রতিমাসে ২ লাখ টাকা খরচ হয়।’
আবদুল লতিফ (চট্টগ্রাম-১১) ‘পাতানো ম্যাচ (ফিক্সিং) বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ’ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নির্দেশনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া যে কোনো ইভেন্টে এন্টি করাপশন কোড প্রয়োগ বাধ্যতামূলক। যে কোনো ধরনের ম্যাচ ফিক্সিং বন্ধে ইতিমধ্যে বিসিবি ডমোস্টিক এন্টি করাপশন কোড প্রবর্তন করেছে। এছাড়া বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী এন্টি করাপশন ও সিকিউরিটি ইউনিট হতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ নিয়োজিত থাকেন। ২০১৩ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে বিপিএলে ফিক্সিং রোধে আইসিসির এ সিকিউরিটি ইউনিট বিসিবি নিয়োগ দেয়। এছাড়া বিভিন্ন ক্রিকেট দল, ক্লাব ও সংস্থার খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের মধ্যে সচেতনতা রোধে নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করা হয়ে থাকে।