DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

প্রাণপ্রিয় স্ত্রীর মৃত্যুতে স্বামীর আত্মহত্যা

image_80484_0কল্পকাহিনীর লাইলি-মজনু, শিরি-ফরহাদ এবং রোমিও-জুলিয়েটকেও যেন হার মানিয়ে দিয়েছেন ব্রিটেনের এডরিয়ান ক্রস। ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে একদিনের জন্য এই পৃথিবীর আলো বাতাসের স্বাদ পেতে চাননি প্রেমিক পুরুষটি। তাই বুঝি প্রাণপ্রিয় সহধর্মিণী টাম্মির মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর নিজেও আত্মহত্যার পথ বেছে নেন যুক্তরাজ্যের ওয়েলস কাউন্টির বাসিন্দা এডরিয়ান। 

গত বছর অক্টোবর মাসে ফুসফুসে সংক্রামনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান টাম্মি।
 
১৯৯৯ সালে ডোমেনিকা প্রজাতন্ত্রে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে টাম্মিকে বিয়ে করেন ক্রস।এরপর থেকে দুজন ওয়েলসে নিজেদের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। স্থানীয় কাউন্সিল অফিসে কর্মরত এডরিয়ান তার স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন। গত তিন বছর আগে হঠাৎ করেই শাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন টাম্মি। নানা পরীক্ষা নীরিক্ষার পর তার ফুসফুসের সংক্রামণ ধরা পরে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বছরের অক্টোবরে স্বামীকে ছেড়ে যান ৩৭ বছরের টাম্মি। এসময় স্ত্রীর মৃত্যুশয্যার পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা এডরিন কেবল বলেন,‘আমি আসছি টাম।’ এই তিনটি শব্দ উচ্চারণ করেই হাসপাতাল ছেড়ে যান এডরিন। উপস্থিত স্বজনরা ভেবেছিল, হয়তো মৃতা স্ত্রীকে শেষ বিদায় জানাতে ফের হাসপাতালে ফিরে আসার কথা বলছেন এডরিন।
আসলে সবার ধারণা ছিল ভুল। হাসপাতাল থেকে সরাসরি বাড়ি ফেরেন এডরিন। তারপর একগাদা ঘুমের ওষুধ খেয়ে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেন। এডরিনকে যখন মৃত অবস্থায় আবিষ্কার করা হয় তখনো তার হাতে ধরা ছিল স্ত্রীর ছবি।
টাম্মির বোন ডন জোনস সাংবাদিকদের বলেন,‘ আমার ভগ্নিপতি সবসময় বলতেন ওর কিছু হলে আমি বাঁচবো না। কিন্তু তিনি যে সত্যিসত্যিই এরকম কিছু করে ফেলবেন এটা আমরা ভাবিনি।’
 
ক্রস দম্পতি সম্পর্কে টাম্মির বাবা ডেভিড জোনস বলেন,‘ এত ভালোবাসা এখন আর দেখা যায়না। জানেন, গত ১৫ বছরে এক রাতের জন্যও ওরা একজন অন্যজনকে ছেড়ে থাকেনি।দুজন দুজনাকে এতটাই অনুভব করতা যে, অল্প সময়ের জন্য কেউ কোথাও গেলেও একটা চিঠি লিখে রেখে যেতো।’
গত অক্টোবরে স্থানীয় গির্জায় এই যুগলের শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়। তাদের শেষকৃত্যে এক হাজারের বেশি লোক এসেছিল।
 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!