DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বিভাগীয় সমাবেশ করবে বিএনপি: কারাবন্দি নেতাদের মুক্ত করতে সমন্বয় কমিটি

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ একদফা দাবিতে টানা আড়াই মাস আন্দোলনের পর এবার দলের  তৃণমূলকে চাঙা করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। সারা দেশের তৃণমূলের নেতাকর্মীকে চাঙ্গা করতে বিভাগীয় সমাবেশ করার চিন্তা করছে দলটি। এতে নেতাকর্মীরা সামনের দিনের আন্দোলনে আরও সক্রিয় হবেন বলে দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন। এ ছাড়া কারাবন্দি নেতাদের মুক্ত করতে আইনি লড়াইয়ে জোর দিচ্ছেন দলটির হাইকমান্ড।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা ৩৬টি দলের সঙ্গে ধারাবাহিক বৈঠক করে বিএনপি’র নীতি-নির্ধারণী ফোরামের নেতারা। এসব বৈঠকে তৃণমূল নেতাদের চাঙ্গা রাখতে কর্মসূচি দেয়ার জন্য বিএনপি নেতাদের প্রস্তাব দেন শরিক দলের নেতারা। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে বিভাগীয় সমাবেশ করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে সর্বোচ্চসংখ্যক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণ নিশ্চিতে আশপাশের জেলার নেতাদেরও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে ঢাকা ছাড়াও ৯ সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত হয়। এজন্য শুক্রবার সব সাংগঠনিক জেলার নেতাদের নিয়ে ভার্চ্যুয়াল সভা করেন স্থায়ী কমিটির দুই নেতা।

এতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে নেতাদের দিকনির্দেশনা দেয়া হয়। বিভাগওয়ারি জেলাগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক এই বৈঠকে সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকরাও অংশ নেন। বৈঠকে অংশ নেয়া একাধিক নেতা জানান- ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, সিলেট, রংপুর, কুমিল্লা ও ফরিদপুর বিভাগীয় শহরে সমাবেশ হবে। রাজশাহী দিয়ে বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির এক সদস্য বলেন, রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগে সভা-সমাবেশ করার বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়েছে। এখনো সমাবেশগুলোর তারিখ চূড়ান্ত করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা করা হবে। তারিখ চূড়ান্ত হলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে।

কারাবন্দি নেতাদের মুক্ত করতে সমন্বয় কমিটি: এদিকে কারাবন্দি ২২ হাজার নেতাকর্মীকে মুক্ত করতে আইনজীবীদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট জয়নুল আবেদিনকে। বিভিন্ন জেলায় নেতাকর্মীদের মুক্তির জন্য নিয়োগ দেয়া হচ্ছে আইনজীবী। বিভিন্ন বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সমন্বয় করছেন জেলা নেতাদের সঙ্গে। নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবীরা আটককৃত নেতাকর্মীর নথি সংগ্রহ করছেন।

এদিকে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানবজমিনকে বলেন, বিএনপি’র নেতাকর্মীরা চাঙ্গাই আছে। সরকারের গ্রেপ্তার-মামলা-হামলা নির্যাতনের মধ্যেও তারা হরতাল-অবরোধ পালন করেছে। সরকার জালিয়াতি করে নির্বাচন করায় তাদের মনোবল আরও শক্ত হয়েছে। এখন পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছে। সমমনা শরিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা আসলেই তৃণমূল নেতাকর্মীরা আবার ঝাঁপিয়ে পড়বে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!