DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

দিল্লিতে হাসিনা-মোদি বৈঠকঃনির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি: আব্দুল মোমেন

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের মিডনাইট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। শুক্রবার সন্ধ্যায় নরেন্দ্র মোদির বাসভবনে দুই সরকার প্রধানের একান্ত এবং আনুষ্ঠানিক (দ্বিপক্ষীয়) বৈঠক হয়। সেই বৈঠক বিষয়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সে ছবিসহ পোস্ট করেন নরেন্দ্র মোদি।

লিখেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। গত ৯ বছরে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অগ্রগতি খুবই সন্তোষজনক। আমাদের আলোচনায় কানেক্টিভিটি, বাণিজ্যিক সংযুক্তি এবং আরও অনেক বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল।” বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনও সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. মোমেন। বলেন, দুই দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত ঘণ্টাব্যাপী আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বাংলাদেশের অত্যাসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোন আলোচনা হয়নি। তাহলে কী  দুই প্রধানমন্ত্রীর একান্ত বৈঠকে এ নিয়ে কথা হয়েছে? সম্পূরক এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একান্ত বৈঠকে নির্বাচন নিয়ে কথা হয়েছে কী-না- তা আমার জানা নেই।

 

এর আগে মোদির আমন্ত্রণে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে পৌঁছান শেখ হাসিনা। এরপর বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বৈঠকটি শুরু হয়।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এটাই হয়ত শেষ আনুষ্ঠানিক বৈঠক। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি ‘খুব গুরুত্বপূর্ণ’ বলে আগাম মন্তব্য করেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও জি-২০ আয়োজনের প্রধান সমন্বয়কারী হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা। শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএনআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মনে রাখা দরকার খুব ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুসুলভ প্রতিবেশী হিসেবে আমরা জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিল্লিতে পৌঁছেছেন এবং সম্মেলনের আগেই তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করছেন। আমি মনে করি এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। উল্লেখ্য, হাসিনা-মোদি বৈঠকে কৃষি গবেষণা খাতে সহযোগিতা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দুই দেশের নাগরিকদের লেনদেন সহজ করা বিষয়ক ৩টি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। শীর্ষ বৈঠকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে তিস্তা চুক্তি দ্রুত সইয়ের তাগিদ দেন তিনি। জবাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে দাপ্তরিক পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে অনিষ্পন্ন সব ইস্যু দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয়, যার মধ্যে তিস্তাও অন্তর্ভুক্ত। 

 

এদিকে সন্ধ্যায় নিজের বাসভবনে অনুষ্ঠেয় ৩টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে শুক্রবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ পৃথক বার্তায় নরেন্দ্র মোদি লিখেন, ৩টি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছি, আমি মৌরিতাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ কুমার জগনাউথ, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করবো। বৈঠকগুলো এসব দেশের সঙ্গে ভারতের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পর্যালোচনা এবং উন্নয়ন সহযোগিতা আরও জোরদার করার সুযোগ দিবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিশেষ ফ্লাইটটি শুক্রবার দুপুরে দিল্লির পালাম বিমান ঘাঁটিতে অবতরণ করে। সেখানে ভারতের কেন্দ্রীয় রেল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ এবং ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাও তার সফরসঙ্গী হিসেবে ভারত গেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর বিষয়ে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন জানান, নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকে কানেকটিভিটি, তিস্তার পানিবণ্টন, জ্বালানি নিরাপত্তা ও খাদ্য নিরাপত্তা সম্পর্কিত বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে। প্রসঙ্গত, এবারের জি-২০ সম্মেলনে বাংলাদেশসহ ৯টি দেশকে অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে আয়োজক ভারত। ভারতের সঙ্গে বিদ্যমান নানা সম্পর্কের ভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পায়। বাংলাদেশ ছাড়া আমন্ত্রিত অন্য দেশগুলো হচ্ছে- মিশর, মরিশাস, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর, স্পেন ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। 

বিবিসি’র প্রাক্কলন- বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করতে হাসিনা-মোদি বৈঠকঃ

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুক্রবারের বৈঠক নিয়ে বিবিসি বাংলা একটি আগাম রিপোর্ট করেছে। তাতে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের ওই বৈঠক ঘিরে সবকিছু ছাপিয়ে অনেকের আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক বিষয়ে। বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে এটি শেষ বৈঠক হওয়ার কারণে ওই আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিবিসি বাংলার রিপোর্ট মতে, শেখ হাসিনার এই সফর এমন এক সময় হচ্ছে যখন বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে এসেছে। বলা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনার এই ভারত সফর বর্তমান সরকার তথা আওয়ামী লীগের জন্য রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।

ভারতের অবস্থান স্পষ্ট হবে?

 বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন সরকারের অধীনে হবে তা নিয়ে বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বিরোধ তীব্র হয়েছে। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিরোধিতা করে সরকার পতনের একদফা আন্দোলন শুরু করেছে বিএনপি। অন্যদিকে সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানবাধিকার ইস্যুতে সরকারের উপর জোরালো চাপ সৃষ্টি করেছে আমেরিকাসহ পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমেরিকার মনোভাব অটল থাকবে নাকি ভারতের প্রভাবে মার্কিন নীতির পরিবর্তন হবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হয়েছিল যে শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে আমেরিকাকে বার্তা দিয়েছে ভারত। এ খবর প্রকাশিত হওয়ার পর বিষয়টি বাংলাদেশের রাজনীতিতে নানা প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে শেষ পর্যন্ত ভারতের অবস্থান কী হবে, এই বৈঠকেই সেই বার্তা পরিষ্কার হয়ে যাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কাছে। মি. হোসেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এতটা আগ্রহ নিয়ে অতীতের নির্বাচনগুলোতে ‘হস্তক্ষেপ’ করেনি। এবার তারা করছে, মানে হচ্ছে তারা এ ব্যাপারে আগের চেয়ে বেশি সিরিয়াস যে এখানে একটি যথাযথ নির্বাচন হোক। বাংলাদেশে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন রয়েছে। কিন্তু ভারতের তরফ থেকে শেখ হাসিনার সরকারকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেয়া হয়। আগামী নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের উপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ মোকাবিলায় ভারত কী ভূমিকা নেবে সেদিকে অনেকেই তাকিয়ে আছে। স্বাভাবিকভাবে ভারত এখানে চাইবে যে একটা স্থিতাবস্থা বজায় থাকুক। এটা তাদের জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু তারা কতটুকু এবার এর পক্ষে নামবে সেটা আমরা জানি না এখনো। আদৌ নামবে কি-না, সেটাও জানি না। কারণ তাদের এখানে বহুমাত্রিক সম্পর্কের বিষয় আছে। তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, আমরা এটাও জানি না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি-না বা কী কথা হয়েছে। এগুলো দুই নেতার বৈঠকের পরেই স্পষ্ট হবে। মি. হোসেন বলেন, বৈঠকে ভারত তার অবস্থান বাংলাদেশের কাছে স্পষ্ট করলেও সেটা হয়ত বাইরে থেকে দৃশ্যমান হবে না কিংবা দৃশ্যমান হলেও সময় লাগবে। তবে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের পরবর্তী কর্মকাণ্ডে হয়ত বোঝা যাবে, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে ভারতের মনোভাবে কোনো পরিবর্তন এসেছে কি-না।

 

আওয়ামী লীগ কী চায়?

 বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকটিকে রাজনৈতিকভাবে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ প্রত্যাশা করে শেখ হাসিনার সরকারের উপর যুক্তরাষ্ট্রের চাপ লাঘব করা এবং আওয়ামী লীগের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে ভারত। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বহুমাত্রিক সম্পর্ক আছে। সে সম্পর্ককেই কাজে লাগাতে চায় সরকার। আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “বাংলাদেশে ‘অস্বাভাবিক সরকার’ আসুক সেটা কোনো দেশের চাওয়া উচিত নয়। এখানে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা থাকুক, এটাই সবাই চাইবে। এখানে ভারত সবসময়ই বাংলাদেশে যেটা সঠিক, সেটাকেই সমর্থন করে। ভারত কখনো বাংলাদেশে অনৈতিক, অবৈধ কিছুকে সমর্থন করে না। যেহেতু সামনে নির্বাচন, আমরা এটুকু আশা করবো যে ভারত সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে, সঠিক সমর্থনটা দেবে, মৌলবাদীদের সমর্থন দেবে না।’ স্বাগতিক ভারত ছাড়া জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন দেশ। অন্য দেশগুলোর সঙ্গেও সাইডলাইনে বৈঠকের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে ভারত ছাড়া অন্য দেশগুলোর সঙ্গে এ ধরনের বৈঠক হলেও সেটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির জন্য খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ হবে না বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। কিন্তু বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ যে চ্যালেঞ্জে পড়েছে এবং দলটির নেতারা ভারতের যে দৃঢ় সমর্থন প্রত্যাশা করেন, সেখানে ভারত কতটা এগিয়ে আসবে? এমন প্রশ্নে ভারতের দিল্লিতে বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনের সিনিয়র ফেলো ড. শ্রীরাধা দত্ত বলছেন, ভারতের অবস্থান কী হবে ইতিমধ্যেই সে বার্তা দেয়া হয়ে গেছে। তবে এখানে ভারতেরও চাওয়া নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয় এবং অংশগ্রহণমূলক হয়। তিনি বলেন, ভারত চায় যে বাংলাদেশে বহুদলীয় নির্বাচনের পদ্ধতিটা ভালো করে হোক। কিন্তু আবার এমন কোনো কিছু যেন না হয়, যেটা নিয়ে আবার বিতর্ক হতে পারে, অস্থিতিশীলতা হতে পারে। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সুসম্পর্ক আছে, আস্থা আছে। ভারত এটাও মনে করে, আওয়ামী লীগই আবারো ফেরত আসবে, কারণ তারা অনেক ভালো কাজ করেছে, উন্নয়ন করেছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এবং পারস্পরিক নানা স্বার্থও জড়িত। গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগের শাসনামলে দুই দেশের মধ্যে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হলেও আটকে আছে তিস্তা চুক্তি। ভারত সফরে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তিস্তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। যদিও তিস্তা নদীর পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে তেমন কোনো অগ্রগতির আশা দেখছেন না বিশ্লেষকরা। একইসঙ্গে ভারতের বিজেপি সরকারও সে দেশের জাতীয় নির্বাচনের আগে তিস্তা ইস্যু নিয়ে ‘অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নতুন ঝামেলায়’ পড়তে চাইবে না বলেও মনে করেন ভারতীয় বিশ্লেষকরা। সর্বোপরি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে এই সফরের গুরুত্ব হচ্ছে- নির্বাচন ইস্যুতে ভারতের সমর্থন ধরে রাখা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!