DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

জিয়াউর রহমান : সেনানায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক

কর্নেল মোহাম্মদ আবদুল হক, পিএসসি (অব:):পৃথিবীতে মাঝে মধ্যে কিছু মানুষের আগমন ঘটে যারা ইতিহাসের পাতা রাঙিয়ে মানুষের কাছে চির স্মরণীয়, বরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকেন। ঠিক এরকমই একজন মানুষের আগমন ঘটেছিল বাংলাদেশে; যিনি ছিলেন অষ্টম রাষ্ট্রপতি ও তৃতীয় সেনাবাহিনী প্রধান লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান। সততার পরাকাষ্ঠা, তীক্ষ্ম মেধা ও দেশপ্রেমের অনুপম উদাহরণ সৃষ্টি করে যিনি তার সারাটি জীবন দেশ ও জাতির জন্য নিঃস্বার্থভাবে উৎসর্গ করেছিলেন। জাতির চরম এক দুঃসময়ে জিয়ার আবির্ভাব ঘটে। তিনি শক্ত হাতে দেশের হাল ধরেন। মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে জাতি এক ভয়ঙ্কর অবস্থা থেকে রক্ষা পায়।

পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্য ও বিমাতাসুলভ আচরণের কারণে ১৯৬৫ সালের আগে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে বাঙালিদের প্রবেশাধিকার ছিল খুব সীমিত। ক্যাডেট কলেজ থেকে একাডেমিক রেজাল্টের মেধা তালিকার শীর্ষস্থান অধিকারীদের অত্যন্ত সূ²ভাবে যাচাই-বাছাই ও সর্বদিক বিচার বিবেচনা করে সামরিক বাহিনীতে নির্বাচিত করা হতো। আর ১৯৫৩ সালে সেটি ছিল আরো কঠিন। কিন্তু অসাধারণ মেধাবী ও চৌকশ হওয়ায় ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমির ১২তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সে জেনারেল জিয়া, জেনারেল সফিউল্লাহ, প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোস্তাফিজুর রহমান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল হামিদ, প্রাক্তন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইউসুফ হায়দার ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ আব্দুল হান্নান প্রমুখ নির্বাচিত হন। ১৯৫৫ সালে তারা কমিশন পান। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীতে জিয়াউর রহমান একজন চৌকশ অফিসার হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। অসাধারণ মেধাবী ও যোগ্যতা, পেশাগত দক্ষতা, সাহসীকতা, শৌর্য, সৌম্য, শক্তি, ক্ষিপ্রতা, নেতৃত্বের গুণাবলি ও সুহৃদয় আন্তরিক ব্যবহারে বিশেষ করে বাঙালি অফিসার ও জওয়ানদের কাছে তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়। তিনি ছিলেন সুদক্ষ প্যারাট্রুপার ও কমান্ডো, স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।

চৌকস অফিসার হিসেবে জেনারেল জিয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে দাপটের সাথে চাকরি করেছেন। সম্মোহনী নেতৃত্ব গুণে জিয়া তখন থেকে সিনিয়র-জুনিয়র সবার কাছে ছিলেন তুমুল জনপ্রিয়। অত্যন্ত প্রিয় ও কাছের কোর্সমেট লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল হামিদ জিয়া সম্পর্কে বলেন, ‘বরাবরই জিয়া ছিল মেজাজী এবং প্রবল আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন একজন সৎ ও সচেতন অফিসার। কিন্তু সে অসৎ অফিসারদের কানে ধরে কাজ করাতে সুবিধা হয় বলে মনে করত। তার সাথে জে. ওসমানী, মোশতাক আহমদ, জে. খলিল প্রমুখদের বনিবনা না থাকা সত্তে¡ও যেভাবে সবার সাথে একা লড়ে ফাইট করে উপরে উঠে আসে, তা ছিল সম্পূর্ণ অবিশ্বাস্য ব্যাপার, লিডারশিপ কোয়ালিটির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।’

১৯৬৬ সালে তিনি পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে (পিএমএ) জেন্টলম্যান ক্যাডেটদের প্রশিক্ষক পদ প্লাটুন কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ পান, যা একজন সামরিক অফিসারের জন্য অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ। বাঙালিদের মধ্যে অসাধারণ মেধাবী চৌকস অফিসার ছাড়া কেউ এ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারতেন না।

তিনি ক্যাডেটদের কাছে ছিলেন অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব; ক্যাডেটরা জিয়াকে তাদের রোল মডেল মনে করতেন। তখন থেকে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। সেই ১৯৬৫-৬৬ সালে বাঙালি জেন্টলম্যান ক্যাডেটদের তিনি বলতেন, ‘এমন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করো, যেন দেশ স্বাধীন হলে সেনাবাহিনীর দায়িত্ব নিতে পারো।’ একজন অফিসার কতটা দূরদর্শী হলে এমন কথা বলতে পারেন! অথচ, রাজনীতিবিদরা সে সময়ে স্বাধীনতার কথা ভেবেছেন বলে আমাদের জানা নেই। পেশাগত দক্ষতা ও অন্যান্য সব যোগ্যতার মাপকাঠিতে জিয়ার অবস্থান অনেক উপরে ছিল বলে তিনি সব ভালো ভালো পদবিতে নিয়োগ পেয়েছিলেন।

১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে কোম্পানি অধিনায়ক হিসেবে খেমকারান সেক্টরে তিনি অসাধারণ সাহসিকতা ও বীরত্বের পরিচয় দেন। একইসাথে সামরিক দক্ষতার অনন্য নজির স্থাপন করেন। খেমকারান যুদ্ধে জিয়া ছিলেন প্রথম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের আলফা কোম্পানির নেতৃত্বে। দুর্ধর্ষ জিয়া ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের নির্ভীক দামাল ছেলেদের নিয়ে ঝড়ের গতিতে ঝাঁপিয়ে পড়েন ইন্ডিয়ার বাহিনীর ওপর। পিছু হটে শিয়ালের মতো পালিয়ে যায় ইন্ডিয়ানরা; রক্ষা পায় লাহোর। লাহোরে একটি স্টোনে ‘ফর দেম লাহোর স্টিল স্টান্ড ইন পাকিস্তান’ লেখাটি উৎকীর্ণ আছে। ওই যুদ্ধে বাঙালি সেনাদের বিশেষ অর্জন গোটা পাকিস্তানে আলোড়ন তৈরি করেছিল। এদের অগ্রনায়কদের একজন ছিলেন আমাদের দেশের সাহসী ওয়্যার হিরো জিয়া। শত্রুর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অসম সাহসিকতা প্রদর্শন এবং আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ যেসব কোম্পানি সর্বাধিক বীরত্বসূচক পুরস্কার লাভ করে, জিয়াউর রহমানের কোম্পানি ছিল এদের অন্যতম। জিয়াউর রহমানের ইউনিট এই যুদ্ধে বীরত্বের জন্য দু’টি ‘সিতারা-ই-জুরাত’ ও ৯টি ‘তমঘা-ই-জুরাত’ পদক লাভ করে। তিনি ভূষিত হন ‘সিতারা-ই-জুরাত’ পদকে। বদলে যায় ইতিহাস। বীরত্বের এ অসাধারণ ইতিহাসে মুগ্ধ হয়ে পাকিস্তান সরকার সপ্তম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ দেয়। এরপর জিয়াকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। যুদ্ধের ইতিহাসে দুঃসাহসী বীর হিসেবে তার নাম সংযুক্ত হয়। এসব যোগ্যতার কারণে অনেক সিনিয়রকে ডিঙ্গিয়ে তিনি দেশে-বিদেশে উচ্চতর পেশাগত প্রশিক্ষণ অর্জনের সুযোগ পান। তিনি মেধার ভিত্তিতে পাকিস্তানের কোয়েটার স্টাফ কলেজে কমান্ড ও স্টাফ কোর্সে যোগ দেন। এরপর অ্যাডভান্স মিলিটারি অ্যান্ড কমান্ড ট্রেনিং কোর্সে উচ্চতর প্রশিক্ষণে তিনি পশ্চিম জার্মানিতে যান এবং কয়েক মাস ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাথেও কাজ করেন।

১৯৭০ সালে জ্যেষ্ঠতার তালিকায় তিনি লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতির জন্য প্রথমে সেকেন্ড ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ও পরে অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে উপ-অধিনায়ক হিসেবে যোগদান করেন। মহান আল্লাহর পরিকল্পনা অত্যন্ত সূক্ষ্ম; তিনি মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে জিয়ার মতো একজন অসাধারণ দুঃসাহসী যোদ্ধাকে বেঁছে নিয়েছিলেন স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য। দেশের সেই দুঃসময়ে পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণের সাথে সাথে তিনি বিদ্রোহ করেন। জিয়া আরো দুঃসাহসী ভূমিকা পালন করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘উই রিভোল্ট’ এবং পরাধীনতার নাগপাশ ভেঙে বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করলেন দেশের স্বাধীনতা। পরে তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন-‘ আই মেজর জিয়া, অন বিহাফ অব আওয়ার গ্রেট ন্যাশনাল লিডার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ডু হেয়ারবাই ডিক্লেয়ার (দ্য) ইনডিপেন্ডেন্স অব বাংলাদেশ।’ যে ঘোষণা শুনে হতভম্ব জাতি দিশা খুঁজে পেল, সামরিক বাহিনীর সদস্যরা হলেন উজ্জীবিত। আর এ জন্যই হয়তো তার অবস্থান হয়েছিল চট্টগ্রাম সেনাবিনাসে অষ্টম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের উপ-অধিনায়ক হিসেবে। দেশের স্বার্থে তার অধিনায়কের মতো সর্বাধিক শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্বকে (অবাঙালি) হত্যা করার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও তিনি পিছপা হননি। এটি যে কত উচ্চমানের দুঃসাধ্য কঠিন কাজ তা সামরিক বাহিনীর সদস্য ছাড়া অন্য কারো পক্ষে বোঝা সহজ নয়।

একের পর এক বিদ্রোহ ঘোষণা শুরু করল পূর্ব পাকিস্তানের ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের পাঁচটি ইউনিট ও সামরিক-আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যরা। তখন থেকে দুই অক্ষরের ‘জিয়া’ নামটি সামরিক বাহিনী সদস্য ও বাঙালিদের মুখে মুখে। জিয়া ছিল এমন এক দুঃসাহসী পিলে চমকানো নাম, যে নামে পাকিস্তানি বাহিনীর হৃদয় প্রকম্পিত হতো। একইভাবে বাঙালিদের কাছে ছিল অতি প্রিয় একজন সামরিক নেতা জিয়া। রণাঙ্গনে জিয়াউর রহমান শুধু একজন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারই ছিলেন না, তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, একজন সেক্টর কমান্ডার ও ফোর্স প্রধান। এভাবে হয়তো মহাপরিকল্পনাকারী মহান আল্লাহ জিয়াকে প্রস্তুত করেছিলেন সবচেয়ে সঙ্কটময় সময়ে দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করার জন্য। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শহীদ জিয়া দেশের জনগণের কাছে সশস্ত্র বাহিনীর সক্ষমতা, সম্মান ও মর্যাদাকে এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, এখনো যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে বা সঙ্কটের সময় দেশের মানুষ সামরিক বাহিনীর দিকে তাকিয়ে থাকে।

১৯৭২ সালে সিনিয়র জেনারেল জিয়াকে ডিঙ্গিয়ে তার জুনিয়র জেনারেল সফিউল্লাহকে সেনাপ্রধান করা হলেও সামরিক বাহিনীতে জিয়া ছিলেন অধিক পরিচিত ও সর্বাধিক জনপ্রিয়। জেনারেল সফিউল্লাহও তাকে সম্মান করতেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন। দেশের অবস্থা যখন টালমাটাল সে সময়ে অর্থাৎ ১৯৭৫ সালের ২৪ আগস্ট মোশতাক সরকার জিয়াউর রহমানকে সফিউল্লাহর স্থলাভিষিক্ত করলেন। সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আড়াই মাসের মাথায় সঙ্ঘটিত হয় ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক ঘটনা। জাতি তখন দিশেহারা হয়ে পড়ে; রাজনীতিবিদরা বিচ্ছিন্ন-বিশৃঙ্খল অবস্থায় ও দেশ নেতৃত্বশূন্য ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখে।। বহির্শত্রুর মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্বও হুমকির সম্মুখীন। জিয়াউর রহমান তখন এত জনপ্রিয় ছিলেন যে, সামরিক বাহিনীর সব সদস্য, রাজনীতিবিদ ও তাদের কর্মীরাও জিয়াউর রহমানকে দেশের সরকার পরিচালনার শীর্ষপদে আসীন করান। ১৯৭৭ সালে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক বিচারপতি আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম পদত্যাগ করে উপ-প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক ও সেনাবাহিনী প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

এরপরের ইতিহাস সবারই জানা। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তার নিজ মেধা, কর্মধারা, দায়িত্ববোধ, সততা, নিষ্ঠা, আন্তরিকতা, কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, সাহস ও নিখাদ দেশপ্রেম দ্বারা দেশ পরিচালনা করে দেশের আপামর জনসাধারণের কাছে অকল্পনীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। দেশ ও জাতির নির্ভরযোগ্য অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রের প্রশাসন, প্রতিরক্ষা, রাজনীতি, অর্থনীতি, বিদেশনীতিতে বৈপ্লবিক এক পরিবর্তন এনে দেশকে বিশ্বের দরবারে এমন এক উচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত করেন যে, জনগণ ফিরে পায় তাদের জীবনের নিরাপত্তা, কথা বলার স্বাধীনতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ চর্চা করার অধিকার, আত্মমর্যাদা ও সম্মানবোধ। কিন্তু শত্রুরা চুপ করে বসে থাকেনি। আমাদের প্রাণপ্রিয় জন্মভূমি-মাতৃভূমি বাংলাদেশের এ অকল্পনীয় উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক রাষ্ট্রে পরিণত হওয়া সহ্য করতে না পেরে দেশের শত্রুদের ষড়যন্ত্রের শিকারে পরিণত হয়ে শাহাদাতবরণ করেন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। কিন্তু কালজয়ী জনপ্রিয়তা অর্জনকারী শহীদ জিয়ার জানাজায় লাখ লাখ মানুষের উপস্থিতি স্মরণ করিয়ে দেয়, ‘শহীদী মৃত্যু নহেকো মৃত্যু নব জীবনের অভ্যুদয়’।

বাংলাদেশের অষ্টম রাষ্ট্রপতি জেনারেল জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের সর্বাধিক জনপ্রিয় নেতা ও মুসলিম বিশ্বের ঐক্যের প্রতীক এবং যিনি মানুষের মনের গভীরে ও ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। কোনো প্রশ্নবিদ্ধ নীতি-নৈতিকতার ঊর্ধ্বে উঠে তিনি ছিলেন একজন গাজী সামরিক নেতা ও রাষ্ট্রনায়ক। দু’টি ভিন্ন দেশ থেকে দু’বার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্বের পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বাংলার ইতিহাসে ক্ষমতায় থাকা যে কোনো মানুষের চেয়ে তিনি তার মাতৃভূমিকে বেশি ভালোবাসতেন। বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ের গভীরে এমনভাবে তিনি স্থান করে নিয়েছেন যে, এ দেশ যত দিন থাকবে শহীদ জিয়ার নাম স্বর্ণাক্ষরে অঙ্কিত থাকবে মানুষের হৃদয়ের গভীরে।

 

লেখক : নিরাপত্তা ও ইতিহাস বিশ্লেষক, সমাজসেবক ও লেখক
[email protected]

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!