DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

মোদীর আমলে ভারতে উল্লেখযোগ্য হারে ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব হয়েছে : মার্কিন কমিশন

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সরকারের আমলে দেশটির ধর্মীয় স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্য হারে খর্ব হয়েছে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র।

সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমবিষয়ক কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এ জন্য ভারত সরকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবার সুপারিশ করেছে ওই কমিশন। ভারতের বর্তমান সরকারকে ‘হিন্দুত্ববাদী সরকার’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে তারা।

এ নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ‘ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশেষ উদ্বেগ রয়েছে’, এমন দেশগুলোর তালিকায় ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম কমিশন। যদিও ভারত সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

এই কমিশন তার বার্ষিক প্রতিবেদনে বিভিন্ন ধরনের সুপারিশ তুলে ধরে। তবে কমিশন কোনো ধরনের রাষ্ট্রীয় নীতি নির্ধারণ করে না।

কমিশন তার বার্ষিক প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় স্বাধীনভাবে ধর্ম পালনের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া ধর্মীয় স্বাধীনতা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর পাকিস্তানকে যে কালো তালিকাভুক্ত করেছে, তাতে সম্মতি দিয়েছে কমিশন।

এদিকে ভারত ইস্যুতে ওই মার্কিন কমিশন বলছে, ‘হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র’ গড়ার লক্ষ্যে মোদি সরকার ২০২১ সালে যেসব উদ্যোগ নিয়েছে, তাতে সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক হামলার ঘটনা ঘটেছে। মুসলমান ও খ্রিষ্টানদের ওপর বেশি হামলা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে কমিশন।

এই বার্ষিক প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্য হারে খর্ব হয়েছে। ভারতজুড়ে হুমকি-ধমকি, গোষ্ঠীবদ্ধ হামলায় দায়মুক্তির সংস্কৃতি এবং সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী গ্রেপ্তারের বিষয়টিও নজরে এনেছে কমিশন।

গত বছরও এমন প্রতিবেদন দিয়েছিল ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম কমিশন। কিন্তু এই প্রতিবেদন খারিজ করেছিল ভারত সরকার। তখন ভারত সরকারের বক্তব্য ছিল, এই প্রতিবেদন পক্ষপাতমূলক।

কমিশন এমন প্রতিবেদন দিলেও মার্কিন সরকার ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে ইচ্ছুক। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করতে চাইছেন। মূলত চীনের উত্থান ঠেকাতে এই কৌশলগত অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে কমিশনের ওই প্রতিবেদন এ বছর কতটুকু আমলে নেবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে।

মার্কিন এই কমিশন এমন সময়ে এই প্রতিবেদন করেছে, যার কিছুদিন পরই মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন বাইডেন। আগামী মে মাসে জাপানের টোকিওতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন কৌশলগত জোট কোয়াডের বৈঠক হবে। এই বৈঠকে দুই নেতার সাক্ষাৎ হবে।

এদিকে ভারত ছাড়াও আরও কিছু দেশের বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেছে মার্কিন কমিশন। কমিশন বলছে, আফগানিস্তান ও নাইজেরিয়াকে কালো তালিকাভুক্ত করা হোক।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!