DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ঢাকায় ভয়ংকর মাদক ‘আইস’ এর কারখানা আবিষ্কৃত:৬জন গ্রেফতার।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  ভয়ংকর মাদক আইস সহজলভ্য না হওয়ায় নিজেরাই অল্প আইস সংগ্রহ করে বেশি পরিমানে বানানোর কৌশল শিখে নেয় এবং এজন্য বায়িং হাউজের আড়ালে মাদক তৈরির ল্যাব তৈরি করে একটি চক্র। সম্প্রতি এই চক্রের মূল হোতাসহ ৬ জনকে গ্রেফতারের পর এসব তথ্য পেয়েছে র‍্যাব।

শুক্রবার (১৮ জুন) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. তৌফিক হোসাইন(৩৫), মো. জামিরুল চৌধুরী ওরফে জুবেইন (৩৭), মো. আরাফাত আবেদীন রুদ্র(৩৫), মো. রাকিব বাসার খান (৩০) ও মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে সবুজ(২৭), পিতা মো. শাহাবুদ্দিন, জেলা-ঢাকা, ৬) মো. খালেদ ইকবাল (৩৫)। অভিযানে আইস, ইয়াবা, বিদেশী মদ, গাজা এবং ১৩টি বিদেশী অস্ত্র এবং রেপলিকা অস্ত্র ও অন্যান্য ইলেকট্রিক শক যন্ত্র, বিপুল পরিমান মাদক সেবনের সরঞ্জামাদিসহ ল্যাবরেটরি (মেথ ল্যাব) সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে র‍্যাব।

সংবাদ সম্মেলনে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, একটি চক্র 'মেথ ল্যাব' তৈরী করে ভেজাল আইস, ইয়াবার রং পরিবর্তন, ঝাক্কি মিক্স ওরফে ঝাক্কি ওরফে ককটেল মাদক তৈরী করছে। এসব অপরাধ দমনে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে।

তিনি বলেন, তদন্তের মাধ্যমে এই ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই সংঘবদ্ধ চক্রটি সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরায় একটি 'মেথ ল্যাব' তৈরীর চেষ্টা করছিল। এই মেথ ল্যাবটি মূলত গ্রেফতারকৃত আরাফাত রুদ্র ওরফে ঝাকি রুদ্র ও তার কয়েকজন সহযোগীর সহায়তায় পরিচালিত করতো। তারা আইস ও ইয়াবার পরীক্ষামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। তারা বাজার হতে বিভিন্ন ঔষধ ও কেমিক্যাল মাদকের সাথে মিশ্রণ করতো। তারা পাতন পদ্ধতিতে ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে আইসের পরিমান বৃদ্ধি এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে ইয়াবার রং পরিবর্তন ও 'ঝাক্কি' তৈরী করতো। কোমল পানীয়, আইস, ইয়াবা- এগুলো সংমিশ্রণে তৈরি করা হয় বিশেষ ধরনের একটি মাদক ‘ঝাক্কি’।

এইচএসসিমিশ্রণ।

র‌্যাব বলেন, এই ব্যবসার মূলহোতা ও সমন্বয়কারী তৌফিক। আর অর্থ যোগানদাতা গ্রেফতারকৃত জুবেইন ও খালেদ। গ্রেফতারকৃত রুদ্র কেমিষ্ট হিসেবে 'মেথ ল্যাব' পরিচালনা করতো। গ্রেফতারকৃত সবুজ মাদক সরবরাহকারী এবং তৌফিকসহ বাকিরা সকলেই মাদক বিক্রির সাথে জড়িত ছিল। এ চক্রে আরও ১০-১৫ জন রয়েছে বলে জানতে পেরেছি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!