DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

আল-জাজিরা সত্য কি মিথ্যা বলেছে,তার বিচার করবে দেশবাসীঃ শেখ হাসিনা।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  সম্প্রতি আল-জাজিরা টিভি চ্যানেলে প্রচারিত বহুল আলোচিত সেই প্রতিবেদনের বিষয়ে বাংলাদেশের মিডনাইট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,  আমার এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়াও নাই, আমার কিছু বলারও নাই। কারণ, একটা চ্যানেল কী বলছে না বলছে সেটা দেশবাসীই বিচার করে দেখবে। দেশের মানুষই বিচার করে দেখবে এটা কতটুকু সত্য, কতটুকু মিথ্যা, কতটুকু বানোয়াট। আর কী উদ্দেশ্যে তারা করছে সেটাও বড় কথা। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের ইন্ধন থাকতে পারে এসব ঘটনায়। কেননা, তারা তো থেমে থাকবে না। তাছাড়া আওয়ামী লীগ বিরোধিতার বিষয়টি তো রয়েছেই। 

শনিবার বিকাল ৪টায় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের জন্য বাংলাদেশের জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

আলোচিত ওই প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটা বিষয় মনে রাখবেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী, যাদের ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছিল। যে খুনীরা একটা দেশের শুধু রাষ্ট্রপতি না, একটা পরিবারের ছোট্ট শিশুকে পর্যন্ত হত্যা করেছে। সেই খুনিদের ইনডেমনিটি দিয়ে তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে চাকরি দেয়া হয়েছে। বিদেশি দূতাবাসে দেয়া হয়েছে। তাদের নির্বাচন করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। জনগণের ভোট চুরি করে পার্লামেন্টেও বসানো হয়েছে, এভাবে তাদের মর্যাদা দেয়া হয়েছে। যারা এটা করেছে তাদের সম্পর্কে আপনাদের কী ধারণা? 

শেখ হাসিনা বলেন, আমি সন্তান হিসেবে যখন সরকারে আসলাম তখন কিন্তু আমি আমার বাবা-মায়ের হত্যার বিচার করেছি। এই ইনডেমনিটি বাতিল করে দিয়ে এ বিচার করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, যারা এদেশে গণহত্যা চালিয়েছে, নারী ধর্ষণ করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, লুটপাট করেছে।  বঙ্গবন্ধু তাদের বিচার শুরু করেছিলেন। কিন্তু ৭৫-এ জাতির পিতাকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান এসে তাদের মুক্ত করে তাদেরকে মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সরকারের অংশিদার বানিয়েছে।এছাড়াও দুর্নীতি, লুটপাটের সঙ্গে যারা জড়িত-এমন ধরনের অনেকের বিচার হয়েছে। যাদের বিচার হয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত। তাদের দোসর, তাদের পরিবার কি চুপ করে বসে থাকবে? তাদেরও কিছু আমরা দেখি, তাদেরও কিছু ইন্ধন আছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সেই সঙ্গে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অদ্ভূত মিথস্ক্রিয়া দেখা যায়-আলট্রা লেফট, আলট্রা রাইট (চরম বামপন্থী ও চরম ডানপন্থী) সময়ে সময়ে এক হয়ে যায়। আমাদের অপরাধটা কি সেটাই তো আমার বড় প্রশ্ন। 

তিনি বলেন, সরকার হিসেবে আমরা দেশের জন্য যেভাবে কাজ করেছি, এগিয়ে নিয়ে গিয়েছি, গত ১২ বছরের মধ্যে কী কী উন্নয়ন করেছি দেখুন। ২০০১ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি কী ছিল তাও দেখুন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!