DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

আজ থেকে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় মাঠে নামছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  দেশব্যাপী ভয়াবহ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব তৈরি এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাল থেকে মাঠে নামছে বাংলাদেশের সশস্ত্রবাহিনী।  জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদেরকে সহায়তার জন্য তারা নিয়োজিত থাকবেন।

সোমবার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আন্ত:বাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)  সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

এর আগে করোনা ভাইরাস নিয়ে সচিবালয়ে জরুরি ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সারাদেশে সশস্ত্রবাহিনী মোতায়েনের কথা জানান।

করোনা ভাইরাস বাংলাদেশে সংক্রমণ বিস্তৃতির সম্ভাব্যতা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বেসামরিক প্রশাসনের অনুরোধে বিভাগীয় শহর, জেলা শহরগুলো ও উপকূলী এলাকায় ‘In Aid to Civil Power ; এর আওতায় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী নিয়োজিত থাকবে বলেও জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের সমন্বয়ে সেনাবাহিনী করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত রোগীদের চিকিতসা ব্যবস্থা, সন্দেহজনক ব্যক্তিদের কোারেন্টাইন ব্যবস্থা পর্যালোচন করবে।

বিশেষ করে বিদেশ ফেরত ব্যক্তিদের কেউ নির্ধারিত কোয়ারেন্টাইনের বাধ্যতামূলক সময় পালনে ত্রুটি/অবহেলা করছে কিনা তা পর্যালোচন করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা স্থানীয় আর্মি কমান্ডারের কাছে অবস্থা পযালোচনার জন্য আইন অনুসারে সেনা বাহিনীর নিকট অনুরোধ জানাবে।

নৌবাহিনী উপকূলীয় এলাকায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা কাজ করবে। বিমান বাহিনী হাসপাতালের প্রয়োজনী চিকিতসা সামগ্রী ও জরুরি পরিবহন কাজে নিয়োজিত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩ জন আর ৩৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

সরকারি সূত্রগুলো জানিয়েছে, বিভাগীয় এবং জেলা পর্যায়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। বেশিরভাগ জায়গাতেই দায়িত্ব পালন করবে সেনাবাহিনী।

তবে, ওই সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে এবারের সেনা মোতায়েন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভিন্নরকম হবে। অতীত অভিজ্ঞতায় মানুষ সেনা মোতায়েন বলতে যেরকম দৃশ্য দেখতে অভ্যস্ত এবার সেরকম দেখা যাবে না।

কারণ ব্যাখ্যা করে তারা বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সশস্ত্র বাহিনীকে দু’টি সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে: ১. সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ২. যাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা তাদের কোয়ারেন্টাইন ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহণ।

এ দায়িত্ব পালনে বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় (ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার) সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!