DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গেছে: বিশিষ্টজনদের অভিমত

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দেশের বিদ্যমান নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাবেক সিইসি-সহ দেশের বিশিষ্টজনরা।   অতি সম্প্রতি রাজধানীতে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সপ্তম জাতীয় সম্মেলন এ ক্ষোভ জানান তারা।

তারা বলেছেন,বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে, রাজনীতি থেকে সুশীল সমাজকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খান।

সুজনের সপ্তম জাতীয় সম্মেলনে যেখানে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিইসি, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টাসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। আলোচনায় সবার কণ্ঠেই নির্বাচনি ব্যবস্থার কঠোর সমালোচনা।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খানের মতে, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা আজ সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে বিপর্যস্ত হয়ে গেছে।  দেশে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আর দেখব কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ আছে।’

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এমনভাবে নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর তারা কর্তৃত্ব কায়েম করবে যাতে করা তাদের বিজয় সুনিশ্চিত হয়।’

আর সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই অকার্যকর হয়ে পড়ে। তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থাটা ভেঙ্গে পড়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়া মানে হল, শান্তিপুর্ণভাবে ক্ষমতা বদলের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া।

অর্থনীতিবিদ ড. আকবর আলি খান বলেন, রাজনৈতিক কর্মসূচি এখন এক দফা হওয়া উচিত। সেটি হলো নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন। তবে, সুশীল সমাজকে রাজনীতি থেকে দূরে থাকার পরামর্শ তার।

তিনি বলেন, ‘সুশীল সমাজের যে ভুমিকা এটা নিয়ে অনেকের সন্দেহ রয়েছে। কেউ কেউ মনে করেন যে, সুশীল সমাজ করে সেখান থেকে রাজনীতিও করা হবে। আমি কিন্তু এ সম্পর্কে বিশ্বাস করি না। আমি মনে করি দেশে রাজনীতি থাকুক আর নাই থাকুক সুশীল সমাজকে রাজনীতি থেকে স্বতন্ত্র হতে হবে।’
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবু হেনা বলেন, নির্বাচন নিয়ে বহু সংস্কার হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ, রাজনীতিবিদদেরই বের করতে হবে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!