DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

আওয়ামী লীগ আজ এদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বড় সংগঠনঃ শেখ হাসিনা।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  বাংলাদেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে শেষ করে দেওয়ার অনেক প্রচেষ্টা অনেকেই করেছে। সংগঠনের সাময়িক ক্ষতিসাধিত হয়েছে, কিন্তু আওয়ামী লীগকে একেবারে ধ্বংস করে দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ জাতির পিতার হাতে গড়া আদর্শভিত্তিক সংগঠন। একে ধ্বংস করা যাবে না।

গতকাল বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনের বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সম্মেলন কেন্দ্র করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হাজার হাজার নেতা-কর্মী, ডেলিগেট ও অতিথির পদচারণে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়। তীব্র শীত উপেক্ষা করে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা ছুটে আসেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মিলনমেলায়।

ভাষণের শুরুতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ও প্রথম সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক এবং গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান। আওয়ামী লীগের ইতিহাস তুলে ধরে দলটির টানা ৩৮ বছর ধরে সভানেত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ মানুষের অধিকার নিয়ে সংগ্রাম করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে গঠন করা কোনো দল নয়। একেবারে গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করার লক্ষ্য নিয়ে এ দল প্রতিষ্ঠিত। এ কারণে বাংলার মানুষের যতটুকু অর্জন, তা আওয়ামী লীগের জন্য। একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন সরকারে এসেছে, কাজ করেছে, তখনই মানুষ কিছু পেয়েছে।

 

বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ব্রিটিশ সাংবাদিক ডেভিড ফ্রস্টকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তাঁর জীবনের মূল লক্ষ্য দেশের মানুষকে সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করা, সংগ্রামের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করে যাওয়া। এ তথ্য উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, এমন অবিচল লক্ষ্য ছিল বলেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। তিনি বলতেন, নেতৃত্ব দিতে হলে সবচেয়ে বেশি যেটা প্রয়োজন, সেটা হলো আত্মত্যাগ। আপনারা বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে দেখবেন, বঙ্গবন্ধু আজীবন কষ্ট করেছেন, আজীবন সংগ্রাম করেছেন। বাংলার মানুষের জন্য, দুঃখী মানুষের জন্য ছিল তাঁর লড়াই। তাদের মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্য নিয়েই তিনি সংগ্রাম করে গেছেন।

পাকিস্তান আমল থেকেই আওয়ামী লীগকে বারবার ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সব সময় লক্ষ্য করেছি, আওয়ামী লীগের ওপর বারবার আঘাত এসেছে। আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণভাবে শেষ করে দেওয়ার অনেক প্রচেষ্টা বারবার হয়েছে। পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছেন। পঁচাত্তরের পরও সে চেষ্টা অব্যাহত ছিল। খালেদা জিয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করেছেন। কিন্তু এই আওয়ামী লীগ জাতির পিতার নীতি ও আদর্শে গড়া সংগঠন। সেই নীতি ও আদর্শ ছিল বলেই জাতির পিতার হাতে গড়া এ সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ছোট ছোট ভাগে বিভক্ত করা হয়েছিল। অনেকবার ভাঙন এসেছে। আমরা আবার নতুনভাবে দলকে গড়ে তুলেছি। আমি দেশে ফেরার পর সারা দেশ ঘুরেছি, সারা দেশ ঘুরে সংগঠনকে দাঁড় করিয়েছি। সে কারণেই আজ আওয়ামী লীগ এ দেশে সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় সংগঠন।’

পঁচাত্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরবর্তী প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কখনো চিন্তাও করিনি আওয়ামী লীগের মতো এত বড় একটি দলের নেতৃত্ব নিতে হবে বা এত বড় গুরুদায়িত্ব আমি নিতে পারব। পঁচাত্তরে বাবা-মা সবাইকে হারিয়েছি। ছয়টি বছর দেশে আসতে পারিনি। রিফউজি ছিলাম দুই বোন। ’৮১ সালে আওয়ামী লীগ আমার অবর্তমানে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করেছিল। নেতা-কর্মীদের ভালেবাসার টানেই দেশে ফিরে এসেছিলাম।’

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!