ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ মিয়ানমারে সংঘটিত রোহিঙ্গা গণহত্যার অন্যতম ভুক্তভোগী বাংলাদেশ হলেও বাংলাদেশের অবৈধ হাসিনা সরকার মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ আফ্রিকার একটি দেশ গাম্বিয়া আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করেছে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে।
সেই মামলায় গাম্বিয়ার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে কানাডা ও নেদারল্যান্ড। এই দুই দেশের সরকার ঘোষণা দিয়েছে, এই মামলায় গাম্বিয়াকে সব ধরনের সহযোগিতা তারা করবে। চলতি সপ্তাহে এই ঘোষণা দেয় কানাডা ও নেদারল্যান্ড।
এর আগে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের সমর্থনকারী মানবাধিকার সংগঠনগুলো মিয়ানমারকে আন্তর্জাতিকভাবে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের গণহ’ত্যা সংক্রান্ত গাম্বিয়ার করা মামলার শুনানি শুরু হয়েছে নেদারল্যান্ডসের হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) মুসলিমদের সমর্থনকারী মানবাধিকার সংগঠনগুলো এ আহ্বান জানায়। মায়ানমারের বর্তমান রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অং সান সু চি রবিবার নেদারল্যান্ডসে পৌঁছেছেন। রোহিঙ্গা মুসলিম গণহ’ত্যা ইস্যুতে নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে গাম্বিয়া। এই মামলার শুনানিতে অংশ নেবেন সু চি।
সু চি’র অফিস কর্তৃক আমস্টারডামের শিফল বিমানবন্দরে তার আগমনের একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারপরে তিনি হেগের দিকে রওনা হয়েছেন যেখানে বিশ্ব আদালত অবস্থিত। ডাচ শহরে আগামী দিনে রোহিঙ্গাদের কয়েকটি দলের পাশাপাশি সরকার সমর্থকরা বেশ কয়েকটি বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে। পশ্চিম আফ্রিকার ক্ষুদ্র মুসলিম দেশ গাম্বিয়া। দেশটি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এই মামলায় বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর গণহত্যা’কে মারাত্মক আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুচি গনহত্যার অভিযোগ অস্বিকার করলেও মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ স্বিকার করে নিয়েছেন।