DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ডেঙ্গুর কামড়ে বেগম খালেদা জিয়া ছটফট করছেনঃ গয়েস্বর চন্দ্র রায়।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  ডেঙ্গুর কামড়ে দেশে গণতন্ত্র নেই মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ডেঙ্গুর কামড়ে বেগম খালেদা জিয়া ছটফট করছেন। তিনি বলেন, দৃশ্যমান আর অদৃশ্যমান ডেঙ্গু দেখতেছি ১০ থেকে ১১ বছর ধরে। যে ডেঙ্গুর কামড়ে গণতন্ত্র নেই। আরেক ডেঙ্গুর কামড়ে খালেদা জিয়া ছটফট করতেছে জেলখানায়, সেখানে ওষুধ নেই। রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত, আইন এবং নিয়ম বহির্ভূত যত ধরনের নির্যাতন আছে তা খালেদা জিয়ার ওপরে চলছে। কিন্তু আমরা নির্বাক তাকিয়ে আছি। শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে অপরাজেয় বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডেঙ্গুর ভয়াবহতা: জনআতঙ্ক ও সরকারের দায়বদ্ধতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, খালেদা জিয়ার তো জেলে যাওয়ারই কথা না। যখন তিনি (শেখ হাসিনা) জেল দিয়েছেন, তখন কি আর খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে নাকি? ডেঙ্গুর কামড়ে মানুষ মরে পাঁচ-সাত দিনে। কিন্তু খালেদা জিয়াকে যে ডেঙ্গু কামড় দিয়েছে, তা খালেদা জিয়ার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ছাড়বে না। শেখ হাসিনা তো খালেদা জিয়াকে ছাড়বে না। কিন্তু আমরা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে চাই। তার জন্য আমাদের চেষ্টা করতে হবে। যদি আমরা চেষ্টা না করে শুধু দোয়া করি তাহলে তো হবে না। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে কোনও কাজ হবে না। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি অনেক হয়েছে, আজ হোক কাল হোক সরকার পতনের আন্দোলন ছাড়া দেশনেত্রীর মুক্তির আর কোনও বিকল্প পথ নাই।

বিএনপির এই নেতা বলেন, যে সরকারের নৈতিক ভিত্তি নাই, কোনও জনসমর্থন নাই দায়বদ্ধতা নাই, সেই সরকারের প্রতি জনগণেরও কোনও দায়বদ্ধতা আছে বলে আমি মনে করি না।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ঘরে প্রোগ্রাম করে খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে না। সুতরাং আপনারা স্ব-স্ব অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নেন। নিশ্চয়ই দল আপনাদের ডাক দেবে। আর যদি ডাক না দেয়, তাহলে আমাদেরকে নিজেদেরই মাঠে নামতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের যে ব্যবস্থা নেয়ার কথা ছিল সেটা তারা গ্রহণ করেনি। সরকার সঠিকভাবে ব্যবস্থা নিলে আজকে ডেঙ্গুর এই অবস্থা হতো না।

দেশের ক্রান্তিলগ্নে খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপিকে খুব বেশি দরকার দাবি করে সাবেক চিফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, একটা তৃণমূলের নেতাকর্মীও কোনও দলে যোগ দেয়নি। যে দেশের সরকার ভোটের আগের রাতে ব্যালট দেয়ার সময় প্রিজাইডিং-পোলিং অফিসারকে বলে দেয়- ‘পারলে এখনই গিয়ে কাজ সেরে নিও’- সেই দেশে নীতি-নৈতিকতা আর গণতন্ত্র বলতে কী অবশিষ্ট থাকে। সে দেশে কি কোনও সরকার থাকে? সেই সরকার কি কোনও সরকার? আমার নির্বাচনী এলাকায় সকাল ১০টায় ব্যালট পেপার নিয়ে কেন্দ্রে যেতে যেতেই সিল মেরে দিয়েছে। সেই সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করা অরণ্যে রোদন ছাড়া আর কী হতে পারে?

সংগঠনের সহ-সভাপতি ভিপি ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির সহ-শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ফরিদা মনি শহিদুল্লাহ, তাঁতী দলের যুগ্ম-আহবায়ক ড. কাজী মনিরুজ্জামান মনির, কৃষকদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য লায়ন মিয়া মো:আনোয়ার, কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন ও চালকদলের সভাপতি জসিম উদ্দীন কবির প্রমূখ।

সূত্রঃ দৈনিক ইনকিলাব।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!