DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

পাবনায় নকলে বাধা দেওয়ায় কলেজ শিক্ষককে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  পাবনার সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজে পরীক্ষার সময় নকলে বাধা দেওয়ায় এক শিক্ষককে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ১২ মে এ মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে অনলাইন ও অফলাইনে চলছে সমালোচনা।

 

কলেজ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে (সোমবার) এইচএসসি পরীক্ষার ডিউটি করছিলেন প্রভাষক মাসুদুর রহমান। এসময় তিনি দেখতে পান তার কক্ষের দুই জন পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বন করছেন। এ ঘটনায় তিনি ওই দুই শিক্ষার্থীর খাতা কেড়ে নেন এবং নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এ ঘটনার জেরে ১২ মে (রবিবার) এইচএসসি পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পথে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হামলার শিকার হন প্রভাষক মাসুদুর রহমান।

প্রভাষক মাসুদুর রহমান বলেন, “১২ মে (রবিবার) আমি এইচএসসি পরীক্ষার ডিউটি শেষ করে কেন্দ্র থেকে মোটরসাইকেলে করে বাসায় ফিরছিলাম। তখন হঠাৎ পেছন থেকে আমাকে বলা হয় এই দাঁড়া। আমি দাঁড়ালে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আমাকে মারতে শুরু করে। সে সময় আমাকে বলা হয় ‘তুই আর কলেজে আসবি না, কলেজে আসলে তোর হাত কেটে নেবো। বাংলা বিভাগে আগুন ধরিয়ে দেবো।’

এরপর আমার সিনিয়র শিক্ষকরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং আমাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। এরপর আমার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে কিছুদিনের জন্য কলেজে যেতে মানা করেছেন শিক্ষকরা।”

কলেজের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কলেজ গেট থেকে মোটরসাইকেলে করে বের হওয়ার সময় কয়েকজন যুবক এসে মাসুদুর রাহমানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় তাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি ও থাপ্পড় মারা হয়। ফেলে দেওয়া হয় মাথার পাগড়ি। একপর্যায়ে তিনি বেরিয়ে যেতে চাইলে পেছন থেকে এসে তাকে লাথি মারা হয়।

অভিযোগ রয়েছে অসদুপায় অবলম্বন করা ওই দুই শিক্ষার্থী পাবনা সরকারি শহীদ বুলবুল কলেজের ছাত্রলীগের সভাপতি জুন্নুনের কর্মী। সিসিটিভির ফুটেজে হামলার সময় জুন্নুনকেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে।

তবে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি জুন্নুন বলেন, ঘটনার সঙ্গে আমার সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনাস্থলে আমি শিক্ষার্থীদের নিবৃত্ত করতে গিয়েছিলাম।

এ ঘটনায় সহযোগী অধ্যাপক ড. কৃষ্ণেন্দু কুমার পালকে প্রধান করে এবং ড. ইসমত আরা ও সহকারী অধ্যাপক হারুনুর রশিদসহ কলেজের কর্মচারী ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের নিয়ে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কমিটির তদন্তে ওই ছাত্রদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য বলে প্রতীয়মান হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে তদন্ত কমিটির প্রধান কৃষ্ণেন্দু কুমার পালের সঙ্গে মোবাইলফোনে (০১৭১৪ ৪৭৪৬০৯) যোগাযোগ করা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!