ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ হুটহাট কাউকে ভালোলাগতেই পারে। স্মার্ট, হ্যান্ডসাম ছেলেদের প্রতি মেয়েদের আগ্রহের পাল্লাটা সবসময়েই একটু ভারী থাকে। তাই বলে ভালোলাগা থেকেই সরাসরি প্রেমের সম্পর্কে চলে যাবেন না যেন! কারণ একজন ভুল মানুষকে ভালোবাসলে পরবর্তীতে পস্তানোর আশঙ্কা রয়েছে। আগে জেনে নিন, এই ছেলেটিই আপনার জন্য পারফেক্ট কি না! এমন কিছু স্বভাবের ছেলে রয়েছে যাদের এড়িয়ে চলাই উত্তম। চলুন জেনে নেয়া যাক-
কিছু পুরুষ রয়েছে যারা আপাতদৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক হলেও মনের দিক দিয়ে এদের বয়স দশ বছরের গণ্ডি পেরয়নি, শৈশবেই আটকে রয়েছে। এর সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কে যাওয়া মুশকিল, কেননা তার জীবনে একজনই পার্মানেন্ট নারী আছেন, তিনি হচ্ছেন তার মা। বাকিরা সবাই ক্ষণস্থায়ী। আপনাকে সে যতই ভালোবাসুক না কেন, তার মায়ের আপনাকে পছন্দ না হলে সেও সে পথেই হাঁটবে। এই ছেলেরা সাধারণত নিজের মায়ের অনুমতি বা পরামর্শ ছাড়া স্বতন্ত্রভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। মানসিকভাবে সে স্বাবলম্বী নয়, তাই কোনোরকম সম্পর্কের জন্যই সে অনুপযুক্ত।
যদি প্রথম ডেটেই কেউ জানায় যে সে কমিটমেন্টে উৎসাহী নয়, সেটা মেনে নিন। অনেক মেয়েরা ভাবে যে তাদের পছন্দের ছেলেটি এযাবৎ কমিটমেন্ট এড়িয়েছে কারণ সে তার মনের মতো সঙ্গী পায়নি। এ ধরনের ভ্রান্ত চিন্তা বর্জন করুন। আপনি যদি কমিটমেন্টে আগ্রহী হন তবে তার সাথে না জড়ানোই ভালো।
আপনার হবু বয়ফ্রেন্ড যদি বেকার বা কর্মবিহীন হয় তাহলে তার সঙ্গে স্থায়ী সম্পর্কে জড়ানো বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। এই কঠিন প্রতিযোগিতার যুগে অনেকের পক্ষেই চটজলদি চাকরি পাওয়া মুশকিল। কিন্তু সে যদি চাকরির চেষ্টা না করে সারাক্ষণ টিভি বা ভিডিও গেমেই মগ্ন থাকে তাহলে তাকে এড়িয়ে চলুন! চাকরি একজন ব্যক্তিকে স্বাবলম্বী করে। আপনার পছন্দের মানুষটির যদি কোনোরকম উচ্চকাঙ্ক্ষা না থাকে, স্বাবলম্বী হওয়ার কোনো ইচ্ছে না থাকে, সে কোনোরকম সম্পর্কের জন্য উপযুক্ত নয়।
আপনার পছন্দের ছেলেটি কি ভীষণ রাগী? যখন তখন রেগে যায়? যে মানুষ নিজের মেজাজের ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে না, তার সঙ্গে সম্পর্কে যাওয়াই উচিত নয়। শুধু তাই নয়, যার মানসিক স্থিতি নেই, তার সঙ্গে প্রেম করাটাও বিপজ্জনক। কখন কী কারণে সে কীভাবে রিঅ্যাক্ট করবে কে জানে! মেজাজ হারিয়ে নিজের কাছের মানুষদের উপর হাত তোলাও অসম্ভব নয় এধরনের মানুষের পক্ষে। তাই আপনার নতুন বন্ধু যতই আকর্ষণীয় হোক না কেন, যদি বুঝতে পারেন যে তিনি রাগী ও বদমেজাজি, আজই রাস্তা মাপুন!