DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে ১০ জন নিহত

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার (২৯ জুলাই) দেশটির জনপ্রিয় পর্যটন দ্বীপ হিসেবে পরিচিত লম্বক দ্বীপে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার এ কম্পন অনুভূত হয়। ভবন ধস থেকে বাঁচতে স্থানীয়রা বাড়ি-ঘর ছেড়ে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।

রোববার সকালে মানুষ ঘুম থেকে ওঠার আগেই দ্বীপটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ১৬২ জন মানুষ আহত এবং কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।

দেশটির সর্বোচ্চ চাষাবাদ আর ধান উৎপাদনের জন্যে পরিচিত জনবহুল এলাকা সেম্বুলান এবং দ্বীপটির উত্তরে অবস্থিত রিঞ্জানি পর্বত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

দেশটির দুর্যোগ প্রশমন সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরো নুগোরোহো বলেন, মাউন্ট রিঞ্জানি একটি জনপ্রিয় ট্র্যাকিং এলাকা। নিহতদের মধ্যে ৩০ বছর বয়সী একজন মালয়েশীয় নারী রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, আপাতত ওই এলাকায় পর্বতারোহন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। কারণ সেখানে পাহার ধসের ঘটনা ঘটছে। রিঞ্জানি ন্যাশনাল পার্ক থেকে কয়েকশ পর্বতারোহীকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ১১৫ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

মুখপাত্র সুতোপো বলেন, বর্তমানে চিকিৎসক, স্ট্রেচার, স্বাস্থ্য সামগ্রী, শিশুদের পোশাক এবং খাদ্য সবচেয়ে জরুরি হয়ে পড়েছে। সেম্বুলানের রাস্তায় আহত মানুষদের চিকিৎসার জন্য একটি জরুরি ছাউনি বসানো হয়েছে। কারণ স্থানীয় যে হাসপাতাল রয়েছে; সেটিও ভূমিকম্পে ধসে পড়েছে। আর গুরুতর আহতদের অন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সেতি সুমারনি নামের সেম্বুলানের এক নাগরিক বলেন, সকাল ৬টার দিকে হঠাৎ ভূমিকম্প অনুভূত হয় এবং নিমিষেই সবকিছু ধ্বংস হয়ে যায়। আমার সন্তানরা ঘরের ভেতরেই ছিলো। ভাগ্য ভালো যে তারা বেঁচে গেছে। আমার ঘরের আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, লোম্বাকের রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স সারিবদ্ধ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া অনেক বাড়ির শুধু দু-একটি দেয়াল ছাড়া সব ধসে পড়েছে।

লোম্বাকের এই ভূমিকম্প সকাল ৬টা ৪৭মিনিটে আঘাত হানে। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপসংস্থা (ইউএসজিএস) বলছে, মাতারাম শহরের উত্তর-পূর্বে ৫০ কিলোমিটার দূরে সাত কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে। পার্শ্ববর্তী বালি দ্বীপের পশ্চিমেও আঘাত হেনেছে।

ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প বেশ স্বাভাবিক ঘটনা। দেশটি তীব্রভাবে সক্রিয় ফায়ার অব রিংয়ে অবস্থিত; যা প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলকে ঘিরে রয়েছে।

সূত্র : রয়টার্স।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!