DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

শুভ জন্মদিন রাইসুল ইসলাম আসাদ

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ দেশের অন্যতম অভিনেতা রাইসুল ইসলাম আসাদের জন্মদিন আজ (১৫ জুলাই)। ৬৬ বছরে পা রাখলেন তিনি। গুনি এই অভিনেতার জন্ম ১৯৫২ সালের ১৫ জুলাই, ঢাকায়। ছিলেন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের ছাত্র। ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে মুক্তিকামী বীরসেনানীদের সঙ্গে তিনিও ঝাঁপিয়ে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। দেখতে দেখতে জীবনের অনেকগুলো বছরই পার করে ফেললেন তিনি। জাগো নিউজের পক্ষ থেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা তাকে। শুভ জন্মদিন জীবন্ত কিংবদন্তী রাইসুল ইসলাম আসাদ।

জন্মদিন প্রসঙ্গে আসাদ বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার মধ্যে তেমন কোনও উচ্ছ্বাস কাজ করে না। বরাবরই এই দিনে নিজের মতো করে থাকি। সবার কাছে দোয়া চাই যেন ভালো থাকি, সুস্থ থাকি।এবার জন্মদিন উপলক্ষে একটি চ্যানেলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত কয়েকদিনে গরমে শুটিং করে বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছি। তাই জন্মদিনে ঘর থেকেই বের হওয়া হলো না।’

মুক্তিযুদ্ধের পরপরই মূলত ১৯৭২ সালে বেতার, মঞ্চে ও টেলিভিশনে রাইসুল ইসলাম আসাদের অভিনয়ে যাত্রা হয়। চলচ্চিত্রে তিনি নাম লেখান ১৯৭৩ সালে। খান আতাউর রহমানের ‘আবার তোরা মানুষ হ’ নামের আলোচিত ছবিটি ছিল প্রথম ছবি। এরপর ১৯৮০ সালে সালাহউদ্দিন জাকীর ‘ঘুড্ডি’, ১৯৮১ সালে সৈয়দ হাসান ইমামের ‘লাল সবুজের পালা’, ১৯৮৪ সালে কাজল আরেফিনের ‘সুরুজ মিঞা’-সহ এ পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেন এই বহুমাত্রিক অভিনেতা।

বর্তমানে রাইসুল ইসলাম আসাদ অভিনীত দুটি নাটক দুটি ভিন্ন চ্যানেলে প্রচার করা হচ্ছে। একটি রহমতুল্লাহ তুহিনের ‘নিউইয়র্ক থেকে বলছি’, অন্যটি নজরুল ইসলাম রাজুর ‘ঘরে বাইরে’। নাটক দুটি যথাক্রমে দীপ্ত ও মাছরাঙা টিভিতে প্রচার করা হচ্ছে। এ ছাড়া তিনি আরও দুটি নতুন ধারাবাহিকে কাজ করছেন। একটি রোকেয়া প্রাচীর ‘সোনালী দিন’, অন্যটি ভুবনের ‘দি ঢাকা এক্সপ্রেস’।

এক নজরে দেখে নেওয়া যেতে পারে তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলো। এই তালিকায় আছে কালের পুতুল (২০১৮), আলতা বানু (২০১৮), মেয়েটি এখন কোথায় যাবে (২০১৭), গহীন বালুচর (২০১৭), যদি তুমি জানতে (২০১৬), গাড়িওয়ালা (২০১৫), অনুক্রোশ (২০১৪), একই বৃত্তে (২০১৩), মাটির পিঞ্জিরা (২০১৩), মৃত্তিকা মায়া (২০১৩), ক্ষীরমোহন মনের মানুষ (২০১০), সিরাজ সাঁই দূরত্ব (২০০৬), ঘানি (২০০৬), শামসু লালন (২০০৪) ,লালন আধিয়ার (২০০৩) , দীন দয়াল লালসালু (২০০১) ,মজিদ কিত্তনখোলা (২০০০), সোনাই হঠাৎ বৃষ্টি (১৯৯৯), প্রেমেন্দ্র নন্দীর বুকের ভেতর আগুন (১৯৯৭), দুখাই (১৯৯৭), সত্যের মৃত্যু নেই (১৯৯৬), অন্য জীবন (১৯৯৫), সুজন সখি (১৯৯৪), পদ্মা নদীর মাঝি (১৯৯৩), কুবের নতুন বউ (১৯৮৩), ঘুড্ডি (১৯৮০), আসাদ আবার তোরা মানুষ হ (১৯৭৩)।

রাইসুল ইসলাম আসাদ ১৯৭৯ সালের ৯ই নভেম্বর তাহিরা দিল আফরোজের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তার একমাত্র কন্যার নাম রুবায়না জামান। চলচ্চিত্রে অভিনয় করে এখন পর্যন্ত তিনি ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’, ‘অন্য জীবন’, ‘লালসালু’, ‘দুখাই’, ‘ঘানি’ ও ‘মৃত্তিকামায়া’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করে তিনি এ সম্মাননা লাভ করেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!