DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

পর পুরুষের সাথে নাঁচার পাপ মোচন করতে মসজিদ বানিয়ে জঙ্গী তৈরী করবেন নাঃশাবানাকে তসলিমা নাসরিন।

দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ  বাংলাদেশে বহুল আলোচিত-সমালোচিত এবং নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বাংলাদেশের এককালের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবানা সম্পর্কে বলেছেন, শাবানা এতকাল পরপুরুষকে আলিঙ্গন করে, তাদের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নেঁচে গেয়ে যে ‘পাপ’ কামিয়েছেন, তা মোচন করতেই এখন তিনি হজে যাচ্ছেন, মসজিদ মাদ্রাসা বানাচ্ছেন।

প্রায় এক যুগ আগে শাবানা মুসলমানের দেশ ত্যাগ করে ইহুদি নাসারাদের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চলে গেছেন বলেও তসলিমা জানান।

আজ বুধবার তার ভেরিফাইড ফেসবুকে এসব কথা লিখেন তিনি।

একই স্ট্যাটাসে মসজিদ ও মাদ্রাসা প্রসঙ্গে তসলিমা নাসরিন বলেন, ‘মহল্লায় মহল্লায় এখন শত শত অপ্রয়োজনীয় মসজিদ। এই মসজিদগুলোর খুতবা শুনে শুনে ছেলেরা বিপথে যাচ্ছে, জিহাদি হচ্ছে, যুক্তিবাদিদের, মানববাদিদের, অমুসলিমদের, নারীদের ঘৃণা করা শিখছে। ‘

 

‘বাংলাদেশে কোরান শিক্ষার ইস্কুলের অভাব নেই’ মন্তব্য করে শাবানার উদ্দেশে তিনি সব শেষে বলেন, ‘দেশের ভালো চাইলে ছেলেদের নারীবিদ্বেষী মোল্লা আর জিহাদি জঙ্গী না বানিয়ে মানুষ বানানোর চেষ্টা করুন। ‘

তসলিমা নাসরিনের ফেসবুকের স্টাটাসটি তুলে ধরা হল:-

বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবানা এখন আর অভিনয় করেন না, এখন তিনি বোরখা পরেন। ইসলামের গভীর জলে শরীর মন সব ডুবিয়ে দিয়েছেন এবং মুসলমানের দেশ ত্যাগ করে ইহুদি নাসারাদের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় একযুগ আগে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চলে গেছেন। তবে দেশে ফিরে ক’দিন আগে দেশের মানুষের জন্য একটি মসজিদ আর কোরান শিক্ষার ইস্কুল বানিয়ে দিয়েছেন। তিনি নিশ্চিতই বেহেস্তে যেতে চান। এতকাল অভিনয় করে, পরপুরুষকে আলিঙ্গন করে, তাদের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নেচে যে ‘পাপ’ কামিয়েছেন, তা মোচন করতে নামাজ রোজা তো করছেনই ; হজে যাচ্ছেন, মসজিদ মাদ্রাসা বানাচ্ছেন। টাকা থাকলে আমাদের দেশের বেহেস্তলোভী মূর্খগুলো ঠিক এই কাজই করে। মহল্লায় মহল্লায় এখন শত শত অপ্রয়োজনীয় মসজিদ। এই মসজিদগুলোর খুতবা শুনে শুনে ছেলেরা বিপথে যাচ্ছে, জিহাদি হচ্ছে, যুক্তিবাদিদের, মানববাদিদের, অমুসলিমদের, নারীদের ঘৃণা করা শিখছে। মাদ্রাসায় আকছার ধর্ষণও হচ্ছে। বাংলাদেশের মসজিদ মাদ্রাসাগুলোয় কী শেখানো হয়, কী হয় — তা লক্ষ রাখার জন্য কোনও সরকারি ব্যবস্থা নেই। একটা রুগ্ন, পঙ্গু, অসুস্থ, দুর্বল, বিকৃত,লোভী,স্বার্থপর প্রজন্ম তৈরি করার জন্য মসজিদ মাদ্রাসার ভূমিকা অপরিসীম।

যুক্তরাষ্ট্রে বাসই শুধু করেন শাবানা, ভালো কিছু শেখেননি ওখানে। যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধনীদের দানের টাকায় চলে। আপনার টাকা পয়সা প্রচুর। আপনি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে দিন। বাংলাদেশে কোরান শিক্ষার ইস্কুলের অভাব নেই, অভাব বিজ্ঞান শিক্ষার ইস্কুলের। অভাব ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, নারী স্বাধীনতা, সমানাধিকার, মানবাধিকার, ইত্যাদি ভালো জিনিস শেখার ইস্কুলের। দেশের ভালো চাইলে ছেলেদের নারীবিদ্বেষী মোল্লা আর জিহাদি জঙ্গী না বানিয়ে মানুষ বানানোর চেষ্টা করুন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!