ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বাংলাদেশে বন্ধের বিষয়ে হাসিনা সরকার এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
ফেসবুক বন্ধের বিষয়ে আজ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর আসার পর সর্বত্র এনিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মুখে আজ দপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ক্ষতি এড়ানো ও কর্মক্ষমতা যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ফেসবুক বন্ধ রাখা যায় কিনা- এ বিষয়ে টেলিযোগাযোগ বিভাগের কাছে মতামত জানতে চেয়েছিলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এ বিষয়ে মতামতটি টেলিযোগাযোগ বিভাগ বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) পাঠিয়ে দেয়।
মন্ত্রিপরিষদ থেকে এমন চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাজাহান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা চিঠি পেয়েছি। এখন এটা নিয়ে বসব। এর কারিগরি দিকসহ নানা বিষয়ে কথা বলে আমাদের মতামত দেব।’
তিনি আরো বলেন, ‘এটা যেহেতু প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তাই এ বিষয় ইতিবাচক নেতিবাচক দেখার সুযোগ নেই। আমরা শুধু কারিগরি দিকটাই পর্যালোচনা করব।’
বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। এমন প্রেক্ষাপটে বিবৃতি দিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করে মন্ত্রণালয়।
ফেসবুক বন্ধের খবরটি সঠিক নয় দাবি করে টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার ফেসবুক বন্ধের বিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধও জানায় টেলিযোগাযোগ বিভাগ।
জানা গেছে, গত বছর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে ফেসবুকের বিষয়টি আলোচনায় আসে। সেখানে আলোচনা হয়, রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমটি ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থী ও তরুণদের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। নেশার মতোই তারা মাধ্যমটি ব্যবহার করছে। সে কারণে রাতে ফেসবুক বন্ধ রাখার সুপারিশ আসে।
কিন্তু বিভিন্ন মহলের মতামত এবিষয়ে ভিন্ন।জানা যায় হাসিনা সরকার সকল গনমাধ্যম কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হলেও ফেসবুক সহ অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার বিরোধী প্রচার প্রচারনা তাদের জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছে।সেটা নিয়ন্ত্রন করতেই সরকার এখন শিক্ষার্থীদের ধুয়ো তুলে ফেসবুক বন্ধ করতে চাইছে।