DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

তনু হত্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরব কেনো ?

kmh copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের (সম্মান) শিক্ষার্থী সোহাগী জাহান তনুকে (১৯) ধর্ষণ করে হত্যা পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন নিরব ভূমিকা পালন করছেন তা জানতে চান বিএনপির স্থায়ী কমিটির  সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘ইয়াসমিন হত্যাকাণ্ডের সময় আপনি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছিলেন। কিন্তু এখন নিরব কেন?’

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তনু হত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বেডরুম থেকে শুরু করে সীমান্তে, এমনকি দেশের সর্বোচ্চ সুরক্ষিত জায়গা ক্যান্টনমেন্টেও মানুষ আজ নিরাপদ নয়।’

তিনি বলেন, ‘সাগর-রুনীকে বেডরুমে হত্যা করা হয়েছিল। ফেলানীকে সীমান্তে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এখন আবার তনুকে ক্যন্টনমেন্টে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো হত্যাকাণ্ডের সঠিক বিচার পাওয়া যায়নি।’

একই দাবিতে অপর এক মানববন্ধনে সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ বলেন, ‘সরকারের আস্কারাতেই ক্যান্টনমেন্টের মতো একটি সুরক্ষিত জায়গায় তনুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শুধু তনুতেই শেষ নয়, আরো ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ড হয়তো ঘটবে। সরকারের এমন নীরবতা ধর্ষক-খুনীদের উৎসাহিত করছে। তাদের গুণ্ডারা মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।’

মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, সাবেক সংসদ সদস্য নিলুফা চৌধুরী মনি, ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবুল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকার পাওয়ার হাউস পানির ট্যাংকির কাছে তনুর লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে তার বাবা কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডে এখনো পর্যন্ত কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!