DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

যোগ্য ও দেশপ্রেমিক অফিসারদের প্রমোশন দিনঃ সেনাবাহিনীর প্রতি শেখ হাসিনা

genconfক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে যোগ্য অফিসারদের প্রাধান্য দিতে সেনা কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদের বৈঠকে তিনি জেনারেলদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমার দৃঢ় বিশ্বাস, সততা ও ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে এই পবিত্র দায়িত্ব আপনারা পালন করবেন। যোগ্ ও দেশপ্রেমিক অফিসারদের পদোন্নতির জন্য নির্বাচিত করবেন।’ ঢাকা সেনানিবাসের সেনাসদর কনফারেন্স হলে রবিবার সকাল ১০টায় ‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৫’-এর সভার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘সেনাসদর নির্বাচনী পর্ষদ-২০১৫’-এর সভা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে কর্মকর্তাদের পদোন্নতির লক্ষ্যে পাঁচ দিনব্যাপী আয়োজিত এ পর্ষদের কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্ষদের মাধ্যমে কর্নেল থেকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং লেফটেন্যান্ট কর্নেল থেকে কর্নেল পদবীতে পদোন্নতির জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেনাবাহিনীতে পদোন্নতির ক্ষেত্রে পেশাগত দক্ষতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস, নেতৃত্ব, শৃঙ্খলা, সততা ও জাতীয় পর্যায়ে অবদানের বিষয়গুলোর উপর গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, যিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও রয়েছেন।

সেনাবাহিনীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করি, দেশ ও জাতির প্র্রয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকবে। এ জন্য যোগ্য, দক্ষ, কর্মক্ষম এবং দেশপ্রেমিক অফিসারদের হাতে এর নেতৃত্ব ন্যস্ত করতে হবে। গত সাড়ে ছয় বছরে সেনাবাহিনীর অবকাঠামো, জনবল, অপারেশনাল ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতসহ প্রতিটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘ইতোপূর্বে কোনো সরকার সেনাবাহিনীর জন্য এত উন্নয়ন করেনি। আমরা সেনাবাহিনীর সামর্থ্যকে বহুগুণে বৃদ্ধি করেছি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনসহ দেশে-বিদেশের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সেনাবাহিনী আজ আস্থা ও শৃঙ্খলার প্রতীক। আমার প্রত্যাশা, আপনারা সর্বোচ্চ দেশপ্রেম ও কর্তব্যপরায়ণতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নেবেন।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক আমাদের নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ইতোমধ্যে আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৩১৪ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার কমে ২২.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩০.২ শতাংশ। বিনিয়োগ বেড়েছে ২৮.৯৭ শতাংশ। রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলারে ছাড়িয়ে গেছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। এখন খাদ্য উৎপাদন ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিকটন।’

তিনি আরো বলেন, ‘শুধু সামরিক বাহিনীই নয়, আমরা প্রতিটি সেক্টরে বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমরা ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার অংশীদার।’

এর আগে প্রধানমন্ত্রী সেনাসদরে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল ও তদূর্ধ্ব কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।তবে প্রতিবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ)তারেক সিদ্দিকী এই অতি গুরুত্বপূর্ন সম্বেলনে এবার ঊপস্থিত ছিলেন না।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!