DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

আবার হাসিনার কূট-পরিকল্পনাঃ খালেদা-তারেককে মাইনাসের নীলনক্সা???

khaleda bnpক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ যেন তেন ভাবে একটি মামলায় শাস্তি দিয়ে হলেও বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে  তারেক রহমানকে বাইরে রেখেই ২০১৯ সালের নির্বাচন করতে চাইছে সরকার। মূলত সরকারের টার্গেট শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন করে পুনরায় ক্ষমতাসীন হওয়া। এই পরিকল্পনা সফল করার প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে খালেদা-তারেককে মাইনাস করা।আর সকল মহলের চাপে মধ্যবর্তি নির্বাচন যদি দিতে হয়ও তথাপি বেগম জিয়া-তারেক রহমান বিহীন বিএনপিকে কাবু করাও তেমন কঠিন হবে না মনে করছেন আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারক গন।

অপরদিকে বিএনপির পরিকল্পনা সরকারকে ক্ষমতা থেকে মাইনাস করা। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব থেকে শুরু করে সব যোগ্য নেতাকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে মাইনাস করতে চাইছে। এজন্য নেতাদের নামে রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। তাদের শাস্তি দিয়ে কারাবন্দি করতে চাইছে সরকার। বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, বিএনপিকে মাইনাস করতে চাইলেই হবে না। এটা সম্ভব নয়। আমরা আদালতে ন্যায়বিচার পাচ্ছি না এটা সত্য। সরকার প্রভাব খাটাতে পারে। আমাদের নেতাদের শাস্তি দিতে পারে। কিন্তু জনগণ এগুলো বুঝে। সরকার এখন বিএনপিকে যেভাবে ভাঙতে চাইছে সেটা ঠিক না। কারণ এর আগেও বিএনপিকে অনেকেবার ভাঙার জন্য চেষ্টা করা হয়েছে। সফল হয়নি। আগামীতেও হবে না।

সূত্র জানায়, খালেদা জিয়াকে আর কখনো ক্ষমতায় দেখতে চায় না আওয়ামী লীগ। এ কারণে খালেদার নেতৃত্বাধীন বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখা হবে। যারা তাকে বাদ দিয়ে বিএনপির ব্যানারে নির্বাচনে আসতে চায় তারা আসবে। তার দলের একাংশকে নিয়ে আগামী নির্বাচন করার পরিকল্পনায় রয়েছে সরকারের। আর এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা কাজ করছেন। তাদের সহায়তা করছেন বেশ কয়েকজন আইনজীবী।

সূত্র জানায়, স্বাভাবিকভাবে খালেদাকে দলের চেয়ারপারসনের পদ থেকে সরানো যাবে না। তাকে দলের চেয়ারপারসন রেখে আগামী নির্বাচনে বিএনপির এটি অংশকে নির্বাচনেও অংশ গ্রহণ করানো যাবে না। কিন্তু খালেদা জিয়ার যদি কমপক্ষে দুই বছরের শাস্তি আদালতের মাধ্যমে করানো যায় তাহলে তাকে কারাবন্দি করা সহজ হবে সেই সঙ্গে তিনি নির্বাচনে অযোগ্য হয়ে গেলে বিএনপির নেতাদের একটি অংশকেও নির্বাচনে নেওয়া সহজ হবে। সেটাই সরকার করতে চাইছে।

খালেদাকে নির্বাচন থেকে মাইনাস করার পরিকল্পনার কথা শনিবার সংসদেই জানিয়েছেন জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া দেশে যে অরাজকতা শুরু করেছেন। এটা জনগণ মেনে নেবে না। আর নেয়নি বলেই কেউ তার আন্দোলনে তিন মাসেও সাড়া দেয়নি।

আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের দাবি, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান এবং বিএনপির অন্য কোনো নেতার বিরুদ্ধেই রাজনৈতিক কোনো মামলা করা হচ্ছে না। তারা অন্যায় করছেন। অপরাধ করছেন, দোষীসাবস্ত্য হচ্ছেন। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যেসব মামলা হচ্ছে এগুলোতে তিনি নির্দোষ হলে আদালতে গিয়ে প্রমাণ করে আসুক, তিনি নির্দোষ। আদালতে তার শাস্তি হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না এটাতো স্বাভাবিক।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপির কোনো নেতাদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা করা হচ্ছে না। তারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করবেন আর আমরা বসে থাকব সেটা হবে না। তিনি বলেন, তাকে মাইনাস করার কাজ আমাদের নয়। যা করার আদালতই সিদ্ধান্ত নেবেন। বিএনপি ভাঙাও আমাদের কাজ নয়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!