DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

আবারও মন্ত্রী হচ্ছেন দেশপ্রেমিক সৈয়দ আবুল হোসেন

1414301895সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী টাইটেলপ্রাপ্ত দেশপ্রেমিক  সৈয়দ আবুল হোসেন আবারও মন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। তার বিরুদ্ধে পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির কোনো অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ও দুদক তাকে অব্যাহতি দেয়ায় পুনরায় তিনি মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার বিষয়টি জোর আলোচনায় রয়েছে। সংশ্লিষ্ট সুত্রমতে, মন্ত্রিপরিষদে তাকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে আনা হতে পারে।

 

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার মন্ত্রিসভা রদবদল করতে চাইছেন। এ জন্য বেশ কয়েক নতুন মুখ সেখানে যোগ হতে পারে। আলোচনায় রয়েছে শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক, কাজী জাফর উল্লাহ, দীপু মনিসহ কয়েকটি নাম। এছাড়াও রদবদল হতে পারেন একাধিক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাছিমকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদে দেয়া হতে পারে— এমন কথাও শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম সেলিমের নাম স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সম্ভাব্য তালিকায় রয়েছে বলে জানা গেছে। অবশ্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রফিকুল ইসলামের নামও কেউ কেউ প্রস্তাব করেছেন।

 

সৈয়দ আবুল হোসেনের সততা ও নিষ্ঠার কারণে তাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। এ ক্ষেত্রে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের নাম আলোচনায় রয়েছে। দল ও মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কৃত লতিফ সিদ্দিকী ওই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। 



সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির সঙ্গে এই পর্যন্ত যাদের নাম নানাভাবে আলোচনায় এসেছিল এবং যাদেরকে মামলায় আসামি করা হয়েছিল তাদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেও আবার নতুন করে বিভিন্ন পদে নিয়োগ করা হয়েছে। এরমধ্যে মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, কাজী মো. ফেরদাউস জামিনে রয়েছেন। তাদেরকে ওএসডি করা হলেও পরে আবার তারা কাজ শুরু করেন। মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এখন সদস্য হিসাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনে কাজ করছেন। আর কাজী মো. ফেরদাউস প্রকল্প পরিচালক হিসেবে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে প্রকল্পে কাজ করছেন। ড. মসিউর রহমান ফের প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা নিযুক্ত হয়েছেন।



সৈয়দ আবুল হোসেন বিশ্বব্যাংকের চাপে মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রার্থী হননি। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাদের নেত্রীর প্রতি আস্থা রেখে এটাই প্রমাণ করতে চেয়েছেন যে, তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ ছিল তা থেকে নির্দোষ প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি আর কখনও সরকারি দায়িত্বে যাবেন না। এমনকি তিনি এটাও সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, আর কখনও নির্বাচনও করবেন না। এ কারণে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানান।

 

মন্ত্রী হওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, আমি কোনো অপরাধ না করলেও আমার নামে নানা রটনা রটানো হয়। মিডিয়াও আমার পিছনে লেগে থাকে। এ পর্যন্ত যতবার আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে এর কোনোটিই প্রমাণ হয়নি। এ অবস্থায় আমি মন্ত্রিপরিষদে গেলেও মিডিয়া আমার নামে বানিয়ে বানিয়ে নানা কথা লিখবে। আমার কার্টুন তৈরি করবে। আমাকে সমালোচিত করবে। এতে আমার মানসকি চাপ বাড়বে; কিন্তু সবার শেষে এটাই প্রমাণ হবে, যা মিডিয়া লিখেছে তা সত্য নয়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!