DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

সংগঠন হিসাবে জামায়াতের বিচারে আইন সংশোধন করা হচ্ছে!

download-110মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য সংগঠনের বিচার ও শাস্তির বিধান রেখে আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন-১৯৭৩ সংশোধনী চূড়ান্ত করেছে আইন মন্ত্রণালয়। মুক্তিযুদ্ধকালে অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিরসন এবং অপরাধী সংগঠনের বিচার সহজ করতে এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে। মন্ত্রিসভার আগামী যে কোনো বৈঠকে এই আইন উত্থাপন করা হবে। আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।

 

মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে জামায়াতের বিরুদ্ধে গত বছরের আগস্ট মাসে তদন্ত শুরু হয়। চলতি বছরের ২৫ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন চড়ান্ত করে মানবতাবিরোধী অপরাধ তদন্ত সংস্থা। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা রিপোর্ট দেয়ার পর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের প্রস্তুতির নিচ্ছে আইনজীবী প্যানেল। এ পর্যায়ে ২৯ মে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ট্রাইব্যুনালের বিদ্যমান আইনে সংগঠনের বিচার ও শাস্তির বিধান নেই। এ বক্তব্যের পর আইন মন্ত্রণালয় আইনটি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়।

 

মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, এই সংশোধনীতে ট্রাইব্যুনালস আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় ‘ব্যক্তি’ শব্দটির পর ‘অথবা সংগঠন’ শব্দগুলো সন্নিবেশ করা হচ্ছে। আরেকটি ধারায় ‘দায়’ শব্দটির পরিবর্তে ‘অথবা সাংগঠনিক দায়’ শব্দগুলো এবং অপর ধারায় ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি’ শব্দগুলোর পরিবর্তে ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি বা সংগঠন’ শব্দগুলো প্রতিস্থাপনের চিন্তা করা হচ্ছে। এ ছাড়া সংগঠন হিসেবে দোষী প্রমাণ হলে ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিধান রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।



এই সংশোধন হলে তা হবে বিচারকাজ চলাকালে দ্বিতীয় দফায় আইন সংশোধন। গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লাকে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে তোলে। তারা সরকারের কাছে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের দাবি জানায়; কিন্তু তত্কালীন আইনে রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের সুযোগ ছিল না।

ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের বিধান রেখে আইনটির সংশোধনী জাতীয় সংসদে পাস হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষও সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করে এবং চূড়ান্ত রায়ে কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়। গত ১২ ডিসেম্বর ওই রায় কার্যকর হয়। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!