DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বিএনপির আন্দোলনে মোটেও চিন্তিত নয় আওয়ামী লীগঃ প্রতিরোধে মাঠে থাকার প্রস্তুতি

alবিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই আওয়ামী লীগের। সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার মনোযোগ দেবেন ক্ষমতাসীনরা।

 

এরই ধারাবাহিকতায় আজ শনিবার থেকে আওয়ামী লীগের জেলা কাউন্সিল শুরু হবে। তবে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে দলটি। তাই সময়মত পদক্ষেপ নিবে তারা। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

সম্প্রতি ঈদের পর সরকারবিরোধী আন্দোলনে নামার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিএনপির আন্দোলনের এ ঘোষণা আমলে নেয়নি আওয়ামী লীগ। বিএনপির আন্দোলনের বিরুদ্ধে কোন কর্মসূচি থাকবে না তাদের। তবে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষে নিজেদের দল গোছাবে ক্ষমতাসীনরা। দলকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষে বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা করারও চিন্তাভাবনা করছে আওয়ামী লীগ।

 

আগামী সেপ্টেম্বরে এ কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াত-বিএনপির ষড়যন্ত্র মোকাবিলা ও বিএনপির নেতাদের মিথ্যাচারের জবাব দিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় ১৪ দলও আজ শনিবার থেকে মাঠে নামছে। বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ জনসভাসহ নানা কর্মসূচি করার ঘোষণা দিয়েছে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ নওগাঁয় সমাবেশ করবে তারা। সদরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার (মুক্তির মোড়) সংলগ্ন মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হবে।

 

সভায় কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবে। রমজান মাসজুড়ে সাংগঠনিক ভিত শক্তিশালী করতে মতবিনিময় করবে বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে। দলের নেতাদের মতে, সময় বেঁধে দিয়ে বিএনপি বারবার আন্দোলনের হুমকি দেয়। তাদের ডাকে রাজপথে জনগণ নামে না। নির্বাচন বর্জনের ডাকও দেশবাসী সাড়া দেয়নি।

 

 

এবারও যত হুঙ্কার দিক, তাতে কিছুই করতে পারবে না। তবে সর্বদা সজাগ থাকবে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নূহ-উল-আলম লেনিন বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে আমাদের কোনো দুশ্চিন্তা নেই। তারা তাদের আন্দোলন করবে। আমরা আমাদের কাজ করে যাব। বিএনপির আন্দোলন সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি এর আগেও অনেকবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েও ব্যর্থ হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর এক অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, ঈদের পরের আন্দোলনের পর বিএনপি নামে দেশে কোনো দল থাকবে না। তিনি বলেন, দেশে শয়তানের আছর লাগছে। ঈদের পর দেশ থেকে শয়তান তাড়াতে হবে। আন্দোলন করতে যে শক্তি-সাহসের প্রয়োজন বিএনপির কোনোটাই নেই। মায়া বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দিয়ে আন্দোলন সম্ভব না। কারণ তার সঙ্গে এখন কেউ নেই। আর আওয়ামী লীগ বটগাছ বা কলা গাছ না, যে ঠেলা দিলে পড়ে যাবে। ষড়যন্ত্র করে শেখ হাসিনাকে বাধা দিতে পারবেন না। আন্দোলনের কথা বলে কোনো লাভ নেই।

 

আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা বলেন, রাজপথে আন্দোলন করার ক্ষমতা বিএনপির নেই। তাই তাদের আন্দোলন নিয়ে চিন্তাভাবনাও নেই তাদের। তবে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবে তারা। তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ে কোন্দল দেখা দিয়েছে। এ জন্য তারা জেলা কাউন্সিল করার উদ্যোগ নিয়েছে।

 

এরই ধারাবাহিকতায় আজ মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সরকারের বিরুদ্ধে বড় কোনো ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করেছেন। একই সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সর্বদা প্রস্তুত থাকার কথাও বলেছেন। সম্প্রতি ছয়দফা দিবসের আলোচনা সভায় তিনি বলেছিলেন, ‘আপনাদেরকেও অনুরোধ করব-সব সময় সতর্ক থাকার। যদি আমরা সব সময় সতর্ক থাকি তাহলে ১৫ আগস্টের মতো আর কোনো ঘটনা ঘটবে না। কারণ এখন তাদের একদম উপায় নাই।

বাংলাদেশে নির্বাচন দিয়ে বা বৈধ পথে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার উপায় নেই। সুতরাং অবৈধভাবে বাংলাদেশের বিশাল একটা অংশ এটা (ক্ষমতাচ্যুত) করার চেষ্টায় লিপ্ত। এ অবস্থায় বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা ও সংগঠনকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে জেলা কাউন্সিল করার উদ্যোগ নেয় আওয়ামী লীগ।

 

মুন্সীগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের মধ্য দিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের জেলা কাউন্সিল কার্যক্রম। এছাড়া ২৬ জুন বরগুনা, ২৭ জুন পটুয়াখালী, ২৮ জুন কিশোরগঞ্জ, ১২ জুলাই ঠাকুরগাঁও, ১৫ জুলাই খুলনা মহানগর এবং ১৯ জুলাই রাজশাহী মহানগরের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। ধীরে ধীরে অন্যান্য সাংগঠনিক জেলাগুলোর তারিখ চূড়ান্ত করা হবে। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!