DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

যুবলীগ নেতা মিল্কী হত্যাঃচিন্হিত অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে চার্জশিট দাখিল করেছে র্যাবঃ হত্যার পুনঃতদন্তের দায়ীত্ব সিআইডিকে প্রদান

image_86734_0ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কি হত্যা মামলার তদন্তভার পুলিশের ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টকে (সিআইডি) দিয়েছে আদালত।

বাদীপক্ষের নারাজি আবেদনের শুনানি শেষে মঙ্গল দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া এ আদেশ দেন। চলতি বছরের ৯ জুন মামলার বাদী ও নিহত মিল্কির ভাই রাশেদ হক খান মিল্কি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মনসুর রিপনের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জিআর সেকশনে সকাল ১০টা ২০ মিনিটে এ নারাজি আবেদন জমা দেন।

তবে ওইদিন মামলার মূল নথি না থাকায় ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়া শুনানির জন্য ১৭ জুন দিন ধার্য করেন। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে নারাজিতে বলা হয়, তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলাটি ভিন্ন দিকে প্রভাবিত করতে মূল আসামিদের নাম অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেননি। নারাজিতে আরও বলা হয়, একটি প্রভাবশালী মহলের চক্রান্তে মূল আসামিদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

নারাজিতে এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত জাহিদুল ইসলাম টিপু, ওয়াহিদুল আলম আরিফ, মো. আহকামুল্লাহ, আমিনুল ইশান বাবু, মাহবুবুর হক হিরক, এনামুল হক ও মাসুদ উদ্দিন আহমেদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে পুনঃতদন্তের আবেদন জানানো হয়। এ ছাড়া এ মামলার তদন্তের দায়িত্ব সিআইডিতে হস্তান্তরের দাবি জানানো হয়। বাদীর দাবি, মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত করে মিল্কি হত্যার মূল আসামিদের অভিযোগপত্রে অন্তর্ভুক্ত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক কাজেমুর রশিদ ঢাকা মহানগর হাকিম তারেক মঈনুল ইসলাম ভূঁইয়ার আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত ১১ আসামি হলেন- সাখাওয়াত হোসেন চঞ্চল, ফাহিমা ইসলাম লোপা, মো. জাহাঙ্গীর মণ্ডল, শহীদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম ওরফে হাবিব, মো. সোহেল মামুন, চুন্নু মিয়া, আরিফ, ইব্রাহীম খলিল, রফিকুল ইসলাম ও শরীফুদ্দিন চৌধুরী।

গত বছরের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই বিপণিবিতানের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিওচিত্র দেখে মিল্কির এক সময়ের সহযোগী যুবলীগের আরেক নেতা জাহিদ সিদ্দিকী তারেকসহ ভাড়াটে কিলাররা তাকে হত্যা করে বলে নিশ্চিত হন পুলিশ কর্মকর্তারা।

এ ঘটনায় মিল্কির ছোট ভাই মেজর রাশেদুল হক খান বাদী হয়ে গুলশান থানায় এজাহারভুক্ত ১১ জন ও অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!