DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ফের আলোচনায় শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ড

 দৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ image_85370_0বেশ কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক নেতাদের আলোচনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছে৷ শনিবার এ নিয়ে মন্তব্য করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ৷



এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘‘জিয়াউর রহমানের হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের পরিচয় প্রকাশ পেলে ভবিষ্যতে আরও অভিযোগ উঠবে৷ শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার ১৩ দিনের মাথায় কেন জিয়াউর রহমান খুন হলেন আমরা সেই প্রশ্ন করি৷''



প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, ‘‘জিয়াকে হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে ভারতের একটি পত্রিকা ডেইলি সানডেতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে৷ সেটা নিয়েও কিন্তু জনমনে অনেক প্রশ্নের জন্ম হয়েছে৷ কেন আপনি বাংলাদেশে ঢোকার ১৩ দিনের মাথায় জিয়াউর রহমান খুন হলেন? আর সেদিন আপনি বোরকা পরে বাংলাদেশের একটি সীমান্তে উপস্থিত হয়ে সীমান্ত পাড়ি দিতে চাচ্ছিলেন, কেন? সত্য কখনোই ঢাকা দেয়া যায় না এবং সত্য কখনো অতীত হয় না৷''



১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরেন তার মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ এর ১৩ দিন পর ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে খুন হন সে সময়ের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান৷



সম্প্রতি এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেন, ‘‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের কোনো সম্পর্ক আছে কি না তা নিয়ে জনগণের মনে প্রশ্ন আছে৷''



প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে গণভবনে আওয়ামী লীগের এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘‘জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় তাঁকেও আসামি করতাম৷''



শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা রিজভী আওয়ামী লীগের যেসব নেতা বিএনপির বিরুদ্ধে ‘কুৎসা' রটাচ্ছেন তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘যারা অতি উঁচু গলায় বিএনপি ও জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে নির্মম আক্রমণ চালিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে, প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে নিজেদের নেত্রীকে খুশি করছেন, তাদের সম্পর্কেও আওয়ামী নেত্রী শেখ হাসিনার সতর্ক থাকা প্রয়োজন৷ ঠিক '৭২ থেকে ৭৫ পর্যন্ত যারা জোর গলায় মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের গুণকীর্তন করতেন, তাদেরকেই দেখা গেছে ক্ষমতার শেষ দিন পর্যন্ত তার মন্ত্রিসভায় অবস্থান করতে৷ তাদের অনেকেই আবার শেখ মুজিবের লাশ ডিঙিয়ে মন্ত্রিসভায় অভিষিক্ত হয়েছেন৷''



কিছুদিন আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের জন্য জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের প্রতি ইঙ্গিত করেন৷ ক্ষমতায় গেলে বিচারের কথাও বলেন তিনি৷



এর একদিন পর এরশাদ জবাব দেন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের৷ এরশাদ ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘‘জিয়া যখন খুন হন তখন চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে তার পাশের রুমে কে ছিলেন? দেশের সবাই তার পরিচয় জানেন৷'' বদরুদ্দোজা চৌধুরী পরে এরশাদের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করে বলেন, এরশাদ জেনেশুনে মিথ্যাচার করেছেন৷



আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফও কয়েকদিন আগে জিয়া হত্যাকাণ্ড নিয়ে মন্তব্য করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘জিয়া হত্যাকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছেন খালেদা জিয়া৷ তাই এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সম্পৃক্ততা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত৷''

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!