DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

যুক্তরাজ্য দ্রুত সংলাপ ও নতূন নির্বাচন চায়

images (3)কূটনৈতিক প্রতিবেদক : ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন গত ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচন যুক্তরাজ্যকে হতাশ করেছে উল্লেখ করে বলেন, নতুন করে আবারও নির্বাচনের পথে যেতে হবে। তবে এর আগে সহিংসতার বৃত্ত থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বেরিয়ে এসে সংলাপে বসতে হবে। এ ছাড়া গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতাকে শক্তিশালী করতে একত্রে কাজ করতে হবে।

 

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিক্যাব) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

বাংলাদেশের চলমান সঙ্কট ও সহিংসতা নিরসনে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলকে আবারও আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে গিবসন বলেন, সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অধিকাংশ মানুষ অংশ নিতে পারেনি, যা আমাদের অত্যন্ত ব্যথিত করেছে। পাশাপাশি সে সময়ের সহিংসতাও আমাদের হতাশ করেছে। তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যত্ নিয়ে আমরা হতাশ নই।

 

তিনি বলেন, ভোট ছাড়া গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন শক্তিশালী, দায়িত্বশীল ও জবাবদিহিতামূলক প্রতিষ্ঠান এবং স্বাধীন গণমাধ্যম, আইনের শাসন ও নারী-পুরুষের সমঅধিকার। তাই সবাই মিলে প্রতি পাঁচ বছর পর পর যে সহিংসতার চক্র গড়ে উঠেছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

 

বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে ব্রিটিশ সরকারের সম্পর্ক বিষয়ে হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার বলেন, আপাতত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাজ্যে সফরের আমন্ত্রণ জানানোর কোনো পরিকল্পনা নেই। হয়তো ভবিষ্যতে হবে, তবে এখন নেই।

 

সাম্প্র্রতিককালে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার নিশ্চিত করাই গণতান্ত্রিক শাসন। এটা কমনওয়েলথের ভাবধারা। বাংলাদেশ কমনওয়েলথের হিসেবে ব্রিটেন এ ব্যাপারে কথা বলতে পারে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার মতো ইস্যুতে ব্রিটেন চোখ বন্ধ করে নেই বলেও জানান রবার্ট গিবসন।

 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, র্যাব বা পুলিশকে প্রশিক্ষণের কোনো পরিবকল্পনা যুক্তরাজ্যের নেই।

রবার্ট গিবসন বলেন, অধিকাংশ পোশাক কারখানা এখনও যথাযথ মান অর্জন করতে পারেনি। তবে বিষয়গুলো আমরা গভীর পর্যবেক্ষণে রেখেছি।

 

তিনি বলেন, পোশাক খাতের উন্নয়নে ইংল্যান্ড বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় কিন্তু তাজরীন ফ্যাশন্স এবং রানা প্লাজার মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা আর দেখতে চায় না। বাংলাদেশের পোশাক খাত সম্ভাবনাময় একটি খাত। এর সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করি, কিন্তু তা মানুষের জীবনের বিনিময়ে নয়।

 

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাংলাদেশি পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কীভাবে ব্রিটেনে বসবাস করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি হাইকমিশনার। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যেহেতু ব্রিটেনের আদালতে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন, তাই এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নেই।’

 

মতবিনিময় সভায় ডিক্যাবের সভাপতি মাঈনুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক আঙ্গুর নাহার মন্টিসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!