DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

সেভেন মার্ডার কেসঃ শোকাহত স্বজনদের বুকে টেনে নিলেন আবেগ আপ্লুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

downloadনারায়নগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা যে দলেরই হোক, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। সোমবার রাতে নারায়ণগঞ্জে অপহরণের পর খুন হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের শোকাহত সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।

রাত আটটায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও মনিরুজ্জামান খান, তাজুল ইসলাম, চালক জাহাঙ্গীর এবং লিটনের পরিবারের সদস্যরা গণভবনে প্রবেশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুব হক শাকিল সাংবাদিকদের এ কথা জানান। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।

এই বহুল আলোচিত সেভেন মার্ডার ঘটনায় নিহতগন এবং অভিযুক্ত গন সকলেই  ক্ষমতাসীন দল এবং সরকারী বাহিনীর সদস্য হওয়ায় বরাবরের মতো শেখ হাসিনা অন্য কোন মহলের উপর দোষ চাপানোর সুযোগ পাননি।এখানে উল্লেখ্য যে, যেকোন অপমৃত্যুর ঘটনার পর নিহতদের পরিবার পরিজনদের সাথে অত্যন্ত আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টিতে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কোন জুড়ি মেলা ভার।এধরনের একজন সহানূভূতিশীল এবং সংবেদনশীল মানুষ কিভাবে শামীম ওসমান,জয়নাল হাজারী ,নূর হোসেনদের মতো চিন্হিত সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের লালন পালন করতে পারেন,তা নিয়ে জনমনে ব্যাপক প্রশ্ন রয়েছে।

এ পর্যায়ে  নিহতদের পরিবারের সদস্যদের বুকে জড়িয়ে নেন। এসময় গণভবনে একটি আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নিহতদের স্বজনদের প্রতি সহানুভুতি জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারায়ণগঞ্জের ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা যে অবস্থানেই থাকুক, যে দলের হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। তাদেরকে খুঁজে এনে, আইনের আহতায় বিচার করা হবে।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হবে। এ জন্য ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকে র্যাব ও পুলিশ কর্মকর্তাদের অপসারণ করা হয়েছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সব হারিয়েছেন, স্বজন হারানোর বেদনা তিনি বোঝেন।

এসময় স্বজনেরা আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে পারবেন। এর আগে বিকেলে পাঁচ পরিবারের সদস্যরা একসঙ্গে সমবেত হয়ে গণভবনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে নজরুল ইসলামসহ সাত জন অপহূত হন। তিন দিনের মাথায় শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে।

এ ঘটনায় নিহত আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারের পরিবারের সদস্যরা রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!