DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

শীতলক্ষ্যা নদী থেকে প্যানেল মেয়র নজরুল সহ অপহ্রত ৬ জনের লাশ উদ্ধার, মহাসড়ক অবরোধ, জ্বলছে সিদ্ধিরগঞ্জ

image_88910বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জের শান্তিনগর ও চর ধলেশ্বরী এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে বুধবার বিকেলে প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, স্বপন, অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের গাড়িচালক ইব্রাহিমসহ ৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এক কিলোমিটারের মধ্যে ৬টি লাশের পায়েই ২৪টি করে ইট বোঝাই সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল। পা ছিল দড়ি দিয়ে বাঁধা। হাত পেছনে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। মুখমণ্ডল ডাবল পলিথিন দিয়ে গলার কাছে বাঁধা ছিল। পেট ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছিল সোজাসুজি ফাড়া।

এদিকে নজরুল ও তার সহযোগীদের লাশ উদ্ধারের খবর পেয়েই বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে নজরুলের স্বজন ও সিদ্ধিরগঞ্জবাসী। এসময় তারা মহাসড়কে সিমেন্টের খুঁটি ফেলে ১০-১৫টি স্পটে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে যানবাহনে ব্যাপক ভাঙচুর করে। এতে করে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর মধ্যে একটি লাশ অপহৃত নাসিকের প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের লাশ বলে নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম ও ভাই আব্দুস সালাম। ওই লাশের পরনে ছিল সাদা রঙের পাঞ্জাবি ও পায়জামা।

নিহত স্বপনের লাশ শনাক্ত করেন তার ভাই রিপন। তার পরনে ছিল প্যান্ট ও সেন্ডো গেঞ্জি। অপহৃত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের গাড়িচালক ইব্রাহিমের লাশের পরিচয়ও সনাক্ত করা হয়েছে।

লাশগুলোর পা ২৪টি ইটবোঝাই সিমেন্টের ব্যাগ দিয়ে বেঁধে শীতলক্ষ্যা নদীতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল। বুধবার দুপুরের পর থেকে লাশগুলো ভেসে উঠতে শুরু করে। লাশগুলোর সবকটিই অর্ধগলিত।

লাশের ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ শহরের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠালে সেখানে রাত পৌনে ৯টার দিকে অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের লাশ শনাক্ত করেন তার মেয়ে মিতু সরকার ও সেতু সরকার। ৬টি লাশের মধ্যে এখন শুধু মাত্র একটি লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) শহিদুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) আজিমুল আহসান, বন্দর থানার ওসি আকতার মোর্শেদ।
 
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকতার মোর্শেদ দৈনিক প্রথম বাংলাদেশকে জানান, শীতলক্ষ্যা নদীতে লাশ ভেসে যাওয়ার খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬টি লাশ উদ্ধার করে। পরে খবর পেয়ে নিহতদের স্বজনরা এসে লাশগুলো শনাক্ত করেন।

এদিকে, প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের বিক্ষুব্ধ সমর্থক ও স্বজনরা নগরীর মৌচাক এলাকায় সামস ফিলিং স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে এতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ফিলিং স্টেশনটি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নজরুল ইসলাম অপহরণ মামলার আসামি ইয়াছিন আলীর।

উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জন অপহৃত হন। ওইদিনই বিকেলে গাজীপুর থেকে নজরুল ইসলামের গাড়ি উদ্ধার করে পুলিশ। এছাড়া গুলশান থেকে আইনজীবী চন্দন সরকারের গাড়ি উদ্ধার করা হয়।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!