DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

নির্বাচনী সহিংসতায় ইইউ’র গভীর উদ্বেগঃসকল দলের অংশগ্রহন মুলক মধ্যবর্তি জাতীয় নির্বাচনের তাগিদ

14490_f3উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যপক সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ'র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক কমিটির চেয়ারপারসন জ্যঁ ল্যামবার্ট বলেন, উপজেলা নির্বাচনকেন্দ্রিক যে সহিংসতা হয়েছে, তা কখনও কাম্য হতে পারে না। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সাক্ষাত্ শেষে প্রতিনিধি দলের প্রধান জ্যঁ ল্যামবার্ট এ কথা জানান।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল মোবারকের সঙ্গে তার নিজকক্ষে বেলা ১১টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সাংবা-দিকদের সাথে কথা বলেন প্রতিনিধি দলের প্রধান জ্যঁ ল্যামবার্ট। তিনি বলেন, আমরা কমিশনের সঙ্গে নানা বিষয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনা তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছি।

জ্যঁ ল্যামবার্ট বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে দরকার স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। গণতন্ত্র শক্তিশালী করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে একযোগে কাজ করতে হবে। পাশাপাশি সহিংসতা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে ইইউর দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক কমিটির চেয়ারপারসন বলেন, ঐ নির্বাচন ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচন। সেখানে অধিকাংশ সংসদ সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে ল্যামবার্ট বলেন, মধ্যবর্তী নির্বাচনের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপের মাধ্যমে সমঝোতায় এসে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে তারা নির্বাচনের আয়োজন করবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে দলগুলোকেই।  সত্বর নতুন নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে  ইইউ বলেছে, মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে সেখানে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত দেখতে চায় ইইউ।'

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!