DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

নির্বাচনোত্তর ব্যাপক সহিংসতায় চাটখিলে সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের অব্যাহত হামলা ভাংচুর ॥ সেনাসদস্যসহ আহত অর্ধশতাধিক

image_756_109296নির্বাচনোত্তর সহিংসতায় গত তিনদিনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষের বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় সেনা সদস্যসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় শনিবার বেলা ১ টার দিকে উপজেলার বৈকন্টপুর গ্রামে সরকার দলীয় ক্যাডার জুয়েল, চাঁনমিয়া, বাচ্চু, রাজু, মামুনসহ ২৫/৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী রামনারায়নপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল সেক্রেটারি কাউছার হামিদ ও বিএনপি সমর্থক লিটনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় হামলাকারীরা ছাত্রদল নেতা কাউছার হামিদ ও তার বড় ভাই সেনাসদস্য ঢাকা থেকে বাড়িতে আসা কবির হোসেন, লিটন, সাহাদাত হোসেন, আরিফ, জহিরসহ অন্তত ১৫ জনকে ককটেল ফাটিয়ে ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে চাটখিলে অবস্থানরত সেনা সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ১নং ইউনিয়নের সাহাপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শুক্রবার জুমার নামায পড়তে আসার পথে সাহাপুর গ্রামের শিবির কর্মী আবু হানিফ রাজিব (১৭) কে সরকার দলীয় সন্ত্রাসী বিপ্লব, রাজন, জসিম, রনি, দেল্লাসহ একদল সন্ত্রাসী বেদম মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় মুসল্লিরা তাকে উদ্ধার করে চাটখিল ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেন। এছাড়া নির্বাচনের দিন বিভিন্ন কেন্দ্রে ব্যালট  পেপার ছিনতাই, ভোটকেন্দ্র দখলসহ ব্যাপক কারচুপির প্রতিবাদ করায় সরকার দল সমর্থিত প্রার্থীর ক্যডারদের হামলায় বিভিন্ন স্থানে ৩০ জন আহত হয়। হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে রমাপুর গ্রামের সোলাইমানের কন্যা শিরিন আক্তার (২০) গুলিবিদ্ধ হয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতরা হচ্ছে রেজ্জাকপুরের শাহ আলম, তুষার, রাসেল, খোরশেদ, বাবু, তানভীর, ইসলামপুরের মাহবুব, দেলোয়ার মাঈন উদ্দিন, রুবেল, খিলপাড়ার শাহপরান, স্বপন, সংকরপুরের মাহফুজ, সাইফুল। বাইশসিন্দুরের শামছুল আলম, ভীমপুরের অপু, রাসেল, নোয়াখোলার সাহেদ, সোআইব, এছাড়া সাইফুল তাজুল ইসলাম, মাইন উদ্দিন, মিজানুর রহমান, শাকিল, করিমসহ ৩০ জন আহত হয়। এদের অনেকেই চাটখিল সরকারি হাসপাতাল ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। নির্বাচনের আগের দিন রাতে ১নং সাহাপুর ইউনিয়নের জামায়াত সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন ও সেক্রেটারি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলমের সাহাপুর ও করটখিল গ্রামের বাড়ির বসতঘরে মুখোশধারী ১০/১৫ জনের সন্ত্রাসী দল রাত ১০টার দিকে আক্রমণ চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে ও ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এবং করটখিল দিঘীরপাড়েও ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। এসময় ছাত্রদল নেতা তুষার ও বিএনপি কর্মী বাবু, জামায়াত কর্মী আলমকে বেধম মারধর করে। নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় উপজেলার সর্বত্র সাধারণ জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

 

 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!