DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

২৫ যুক্তিতে খালাস চেয়ে ড. ইউনূসের আপিল প্রস্তুত

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের সাজা বাতিল চেয়ে রোববার আপিল আপিল আবেদন করবেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজন। একই সঙ্গে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়ে জামিন চাইবেন ড. ইউনূসসহ অন্যরা।

রোববার (২৮ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্ট আপিলের ট্রাইব্যুনালে শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায় বাতিল ও ২৫ যুক্তিতে তাদের খালাস চেয়ে আপিল করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী।

আইনজীবী বলেন, ২৫ যুক্তি তুলে ধরে রোববার (২৮ জানুয়ারি) শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলার রায় বাতিল চেয়ে আপিল করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে জামিনও চাইবেন তিনি।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ১ জানুয়ারি ৬ মাসের সাজা হয় ড. ইউনূসের। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন পান ইউনূসসহ চারজন। যেই সময়সীমার মেয়াদ শেষ হবে ৩১ জানুয়ারি। তাই রায় হাতে পাওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী আপিল আবেদনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন নিশ্চিত করে জানান, গত ২৪ জানুয়ারি দেশে ফিরেছেন ড. ইউনূস। খালাস চেয়ে আপিল করবেন ২৮ জানুয়ারি। একই দিন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালে তিনিসহ চার আসামি আদালতে ওইদিন উপস্থিত হয়ে জামিনও চাইবেন তারা।

আইনজীবী মামুন বলেন, আমরা রোববার আপিল করবো। আপিলের সব প্রস্তুতি চলছে। এসময় ড. ইউনূসসহ অন্যরাও উপস্থিত থাকবেন। বিদেশে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম বাতিল করে এরই মধ্যে দেশে ফিরেছেন তিনি। তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা তাদের খালাস চাইবো। এটা আমাদের সিদ্ধান্ত।

আইনজীবী মামুন বলেন, ‘বলা হচ্ছে এ মামলা করেছে শ্রমিক। কিন্তু আসলে তা করেছে সরকার, তাদের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। এ নিয়ে সারা বিশ্বের মিডিয়া কথা বলছে। সংশ্লিষ্ট রায় অবৈধ। সেটা বাতিল চেয়েছি আমরা। সেই সঙ্গে ড. ইউনূসের জামিন চাওয়া হয়েছে আপিল আবেদনে।’

আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ১ জানুয়ারি রায় ঘোষণার পর ড. ইউনূসসহ চারজনকে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের শর্তে জামিন দেওয়া হয়। আগামী ৩১ জানুয়ারি সেই সময়সীমা শেষের আগেই ২৮ জানুয়ারি আপিল করবো আমরা। এজন্য এরই মধ্যে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন ড. ইউনূস। আপিলে শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে সাজা মওকুফ করে চার আসামির খালাস চাওয়া হবে বলে জানান আইনজীবী।

গ্রামিণ টেলিকমদের শ্রমিকদের স্থায়ী না করা, ছুটি নগদায়ন না করা, ৫ শতাংশ লভ্যাংশ না দেওয়ার অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায়। শ্রম আইনের দুই ধারায় সর্বোচ্চ সাজা ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় ড. ইউনূসসহ চারজনের।

ড. ইউনূসের আইনজীবী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। কিন্তু প্রচার করা হচ্ছে মামলার বাদী শ্রমিকরা। তার দাবি, রায়ের ক্ষেত্রেও সেটা ফ্যাক্টসের সঙ্গে ফাইন্ডিংসের মিল নেই। তাই খালাস চেয়ে আপিলে তুলে ধরা হয়েছে ২৫টি যুক্তি।

শ্রম ট্রাইব্যুনালে আপিল করার পর আইন অনুযায়ী নোটিশ যাবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে। তবে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত আইনজীবীও নিয়োগ করতে পারেনি সরকারি সংস্থাটি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!