DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

যুক্তরাষ্ট্র সারাক্ষণ আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে: প্রধানমন্ত্রী

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়া কিংবা কারো সঙ্গে দেশের স্বার্থ বেচে, মানবতার সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা কখনো করেননি। যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে লেগে আছে সারাক্ষণ। তাতে তার কিছু আসে যায় না। জনগণের শক্তিই হলো বড় শক্তি। গতকাল রাতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সম্প্রচারিত লেটস টক-এ তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সম্পদ গ্যাস। ৯৬ সালে অন্য কোম্পানির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রও গ্যাস উত্তোলন করে। তবে তারা গ্যাসটা বিক্রি করার কথা বললে, আমি আপত্তি করি। এর খেসারতও আমাকে দিতে হয়েছে। ২০০১ সালের নির্বাচনে আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হয়নি। ২০০১-এর নির্বাচনে দেশের ভেতর আর বাইরের চক্রান্ত এক হয়ে গেল।

তো এরকম কিছু ব্যাপার আছে। এরা সবসময় হস্তক্ষেপ করতে চায়।
 তিনি বলেন, আজকে মানবাধিকার কথা নিয়ে তারা প্রশ্ন তোলে। শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা তোলে। দুর্ভাগ্যের বিষয়টি হলো নিজের দেশের দিকে তাকায় না। জাতিসংঘে আমি ফিলিস্তিনি ইস্যুটা তুলেছিলাম। ইইউতেও আমি যখন গেলাম তখন খুব শক্তভাবে এই প্রশ্নটা তুলেছিলাম ফিলিস্তিনি শিশু ও নারীদের মারা হচ্ছে এখন কেন সবাই চুপ। এমনকি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দুই দুই বার যুদ্ধ বন্ধের জন্য যে প্রস্তাব আস তাতে আমেরিকা ভেটো দিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় মানুষের জীবনের কোনো নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু তারা অন্য জায়গায় এসে খবরদারি করে। এই মোড়লিপানা যে তাদের কে করতে দিল আমি সেটা জানি না। আমি এই বিষয়টা সবার আগে আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরেছি এবং প্রতিবাদও করেছি। তারা আমাদের শ্রম অধিকারর নিয়ে কথা বলে। তাদের ওখানে কর্মীরা একটা স্ট্রাইক করে সবগুলাকে চাকরি থেকে বের করে দেয়। এতে তাদের কিছু আসে যায় না। কিন্তু অন্য দেশের বেলা নাক গলায়। ইরানে শাহ পালভীর যখন পতন হয় তিনি একটা কথা বলেছিলেন, আমেরিকা যার বন্ধু হবে তার শত্রু লাগবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, হাজার হাজার যুবক ইউক্রেনে জীবন দিয়েছে। রিফিউজি হয়েছে কত মানুষ। এখন যুক্তরাষ্ট্র বলছে তাদের টাকা নাই, দিতে পারবে না , করতে পারবে না সহায়তা। তাহলে যুদ্ধটা বাঁধালো কেন? এই উস্কানি তারা দিল কেন? রাশিয়ার এই আক্রমণ আমরা সমর্থন করিনি। জাতিসংঘে আমরা খুব হিসেবে করে পা ফেলি। কারণ আমাদের পররাষ্ট্র নীতি হলো সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারও সাথে বৈরিতা নয়। কিন্তু ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের এক স্ট্যান্ড আবার ওইদিকে ফিলিস্তিনি শিশুদের হাসপাতালে বোম ফেলা। সাধারণ মানুষকে বোমা ফেলে হত্যা করা বন্ধ না করে তারা ইসরায়েলকে উল্টো আরও অস্ত্র কেনার টাকা দিচ্ছে। ইস্যুতে ইসরায়েলকে তারা উলটো আরও টাকা দিচ্ছে অস্ত্র কেনার জন্য। এদের মানবাধিকারের ডেফিনেশন কী সেটাই আমরা বুঝলাম না। পৃথিবী মনে হয় এটা বুঝতে পারেনি। তবে সারা বিশ্বে এ ব্যাপারে সচেতন।

 যুক্তরাষ্ট্রকে এক সময় খেসারত দিতে হবে উল্লেখ করে সরকার প্রধান বলেন, তারা ইলেকশনের ব্যাপারে অনেক কথা বলে। যখন তাদের প্রশ্ন করা হয় এই যে বিএনপি ট্রেনে আগুন দিয়ে মা, শিশু পুড়িয়ে ফেলল। এ ব্যাপারে তাদের মুখ বন্ধ। কোনো কথা বলে না। কাজেই এদের ডাবল স্ট্যান্ডার্ড নিয়ে এদের নিজেদেরই একসময় খেসারত দিতে হবে। এটা হল বাস্তবতা।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!