DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

কিংস পার্টিতে যোগ দিতে বিএনপির বহু নেতাকে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে: রিজভী

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ কিংস পার্টিতে যোগ দিতে সরকার বিএনপির বহু নেতাকে চাপ, প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, বিভিন্ন দল থেকে নেতা কিনতে গরুর হাটের মতো দরদাম চলছে। আওয়ামী সরকারের কিংস পার্টিতে যোগ দিতে দেশপ্রেমিক বহু নেতাকে চাপ-প্রলোভন-ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে। ছলে বলে কৌশলে, টোপ দিয়ে কাউকে কাউকে বাগানো হচ্ছে। বুধবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি। রিজভী বলেন, গণতন্ত্রকামী কোটি কোটি মানুষকে মাফিয়া চক্রের নিপীড়নের মুখে ঠেলে দিয়ে শেখ হাসিনার গৃহপালিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের তফসিল নাটক স্রেফ ভাগ বাটোয়ারার নির্বাচনকে বৈধতার সিল মোহর দেয়ারই কারসাজি মাত্র।  

 তিনি বলেন, দেশের জনগণ মাফিয়া চক্রের এই ভুয়া তফসিল প্রত্যাখ্যান করায় ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা এখন মঈন-ফখরুদ্দিনের মতো তথাকথিত কিংস পার্টি, ভূইঁফোড় পার্টি, ড্রিঙ্কস পার্টি, ছিন্নমূল পার্টি তৈরী করে তাদেরকে দিয়েই তামাশার নির্বাচন মঞ্চস্থ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। শেখ হাসিনা তার এজেন্সিগুলোকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছেন তথাকথিত কিংস পার্টি গঠনের জন্য। বিভিন্ন দল থেকে নেতা কিনতে গরুর হাটের মতো দরদাম চলছে। আওয়ামী সরকারের কিংস পার্টিতে যোগ দিতে দেশপ্রেমিক বহু নেতাকে চাপ-প্রলোভন-ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।

ছলে বলে কৌশলে, টোপ দিয়ে কাউকে কাউকে বাগানো হচ্ছে। আবার কেউ কেউ জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে না গিয়ে বিরোধী দলের লেবাসে ফ্যাসিবাদের দোসর হয়ে তথাকথিত এইসব কিংস পার্টি, ভূইঁফোড়, ছিন্নমূল পার্টি হালুয়া-রুটির ভাগ প্রাপ্তির লালসায় ফ্যাসিস্টদের বর্তমান আস্তানা গণভবন-বঙ্গভবনে ছুটোছুটি করছেন। রিজভী বলেন, দেশের কৃষক-শ্রমিক, দিনমজুর, স্বল্প আয়ের মানুষ, শ্রমজীবী-কৃষিজীবী, পেশাজীবী, সম্মানিত আলেম ওলামাসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ তথা গার্মেন্টস শ্রমিকসহ দেশের সকল নাগরিক বর্তমানে মানবিক মর্যাদা হারিয়ে, রাজনৈতিক অধিকার হারিয়ে, ভোট প্রয়োগের অধিকার হারিয়ে নিজ দেশেই যখন শেখ হাসিনার মাফিয়া চক্রের শৃংখলে বন্দি তখন আত্মা বিক্রি করা কিছু লোক সামান্য খড়-কুড়োর লোভে তারা বিবেক বিবেচনাহীনভাবে তামাশার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এই সব রদ্দি মার্কা বেইমান দলছুটরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। কিন্তু এই সমস্ত রং বদলানো পরজীবী রাজনীতিবিদরা জনগণের সংকেতবার্তা টের পাচ্ছেন না, জনগণ খুব দ্রুতগতিতে ধেয়ে যাচ্ছে সরকারের সিংহাসন ধুলোয় লুটিয়ে দিতে, জনগণের সেই পদচিহ্ন লক্ষ্য করতে পারছে না এই নব্য রাজাকারেরা।

রিজভী অভিযোগ করেন, গণতন্ত্রের শেষ চিহ্ন মুছে দিতে গেষ্টাপো বাহিনীর কায়দায় গড়ে তোলা গোয়েন্দা পুলিশ, র‌্যাব বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। গ্রেপ্তার করে তুমুল ভাংচুর করা হচ্ছে বাড়িঘরে। বিএনপি নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ‘নিখোঁজ’ ব্যক্তিদের কারাগারে খুঁজে বেড়াচ্ছেন স্বজনেরা। দেশের প্রতিটি জনপদ-গ্রাম-গঞ্জ-শহর-বন্দরে গ্রেফতার আতংকে ভয়ার্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। একাত্তরের যুদ্ধকালীন সময়ের মতো। সরকার পুলিশ-র‌্যাবের পাশাপাশি হেলমেট বাহিনী নামিয়েছে। সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে তাঁদের বাড়িতে হেলমেট বাহিনী হামলা ভাঙচুর ও লুটপাট চালাচ্ছে। গুপ্ত হামলা, বোমা হামলা চালাচ্ছে। গণতন্ত্রপন্থীদের ধরে নির্যাতন করে পুলিশে দিচ্ছে। আবার আটক বাণিজ্য করছে।
গত ২৮শে অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে বিএনপি এবং গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোর ১৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আওয়ামী হানাদার বাহিনীর আক্রমণে সারাদেশে বিএনপির প্রায় দুই কোটি নেতাকর্মী দিনের পর দিন ঘরছাড়া।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!