DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করুনঃ বিএনপি

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে সুচিকিৎসায় সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে দলটি। 

গতকল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান এই দাবি জানান। 

তিনি বলেন, আমরা যতটুকু জানি তিনি (খালেদা জিয়া) খুব অসুস্থ। তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন, যে চিকিৎসা এখানে সম্ভব নয়। এমনকি যে হাসপাতালে তিনি ছিলেন সেখানেও সম্ভব হয়নি। সুচিকিৎসার জন্য তার বাইরে যাওয়ার হয়তো দরকার হবে। এ ব্যাপারে সরকারের একটা নিষেধাজ্ঞা আছে। আমরা দাবি জানাই, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হোক। খালেদা জিয়ার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা হোক, যেন তিনি তার চিকিৎসার প্রয়োজনে যখন যেখানে যেতে চান যেতে পারেন।

চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবারের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরতে এই সংবাদ সম্মেলন হয়। 

গত বছরের ২৫ মার্চ থেকে সরকার নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা ছয় মাস স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়ার পর থেকে তিনি গুলশানে নিজের বাসা ‘ফিরোজা’য় আছেন। প্রথম দফার পর পরিবারের আবেদনে আরও ৬ মাস সাজা মওকুফ করা হয়, যার মেয়াদ আগামী ২৪ মার্চ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সরকারের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে নজরুল ইসলাম খান বলেন, যদিও এই নিষেধাজ্ঞাটা অমানবিক ও অযৌক্তিক। কারণ এ দেশের ইতিহাস বলে যে, অসুস্থতার কারণে রাজনৈতিক নেতাদের বাইরে যাওয়ার বহু দৃষ্টান্ত আছে। এমনকি জেলে থাকা অবস্থায়ও বাইরে যাওয়ার দৃষ্টান্ত আছে। কিন্তু খালেদা জিয়ার ওপর এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা মনে করি, এই অযৌক্তিক ও অমানবিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা দরকার। সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিচ্ছি না। এটা রাজনৈতিক বিষয় নয়, এটা তার চিকিৎসার বিষয়।

খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতাদেশের দ্বিতীয় দফার মেয়াদও শেষ প্রান্তে, এমন পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির চাওয়া কি জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার আর কি, আমরা তো বারবার তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। কারণ আমরা বিশ্বাস করি তাকে সাজাই দেওয়া হয়েছে অন্যায়ভাবে, বিনা অপরাধে। অনেক দণ্ডপ্রাপ্তকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কারণ তারা সরকারের আপনজন। এটা খালেদা জিয়ার জন্য প্রযোজ্য নয়। তিনি সরকারের আপনজন নন, প্রতিপক্ষ। আমরা মনে করি, সরকার সবার সরকার হওয়া উচিত। সেটা প্রমাণ করার জন্য হলেও অবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া এবং তিনি যাতে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, সুচিকিৎসা নিতে পারেন এবং নাগরিক হিসেবে তার যে অধিকার সেই অধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।

খালেদা জিয়া বর্তমানে কেমন আছেন জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এ ব্যাপারে তার চিকিৎসক টিম এবং তার আত্মীয়স্বজনদের বক্তব্য আপনারা বিভিন্ন সময়ে জানছেন এবং প্রকাশও করছেন। এর বাইরে তো বলার কিছু নেই। কারণ আমরা তো তার সঙ্গে দেখাই করতে পারি না। আমরা আপনাদের মতো যতটুকু জানি তিনি দারুণভাবে অসুস্থ। তার সুচিকিৎসা প্রয়োজন।

স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সম্প্রতি নড়াইলের আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, বরিশালে ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগদানে নেতাকর্মীদের বাধা এবং সিলেটের সিটি মেয়র আরিকুর হক চৌধুরীসহ তার সহকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। নোয়াখালীতে ক্ষমতাসীন দলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিক মুজাক্কির নিহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!