DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

করোনা টেস্টে প্রতারণার কথা জানতেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিঃ ডা.সাবরিনা।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ  করোনা পরীক্ষায় প্রতারণার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে আগেই জানিয়েছিলেন বলে দাবী করেছেন জেকেজি হেলথের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী।

কোনো টেস্ট না করেই করোনার রিপোর্ট নিয়ে চরম প্রতারণা করে জেকেজি হেলথ কেয়ার।আসল নমুনা ফেলে দিয়ে হাজারো মনগড়া কোভিড-১৯ রিপোর্ট দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। জেকেজির কর্মীরা মিলে এসব ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেছিল।

এ ঘটনায় গত ২৪ জুন জেকেজির গুলশান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ডা. সাবরিনা আরিফের স্বামী আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় তেজগাঁও থানায় চারটি মামলা হয়েছে।

এদিকে ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী দাবী করছেন তিনি জেকেজির চেয়ারম্যান নন। অথচ করোনা টেস্টের প্রতারণার খবর সামনে আসার আগে তিনি নিজেকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে জেকেজির চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন।

করোনা টেস্টে প্রতারণার কথা জানতেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি!

 

নিজেকে নির্দোষ দাবি করে একটি বেসরকারি চ্যানেলকে সাবরিনা বলেন, ‘জেকেজির চেয়ারম্যান হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং এটা ওভাল কোম্পানির একটি অঙ্গসংগঠন। ওভাল গ্রুপ ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। যেখানকার মালিক হচ্ছেন আরিফুর রহমান।

প্রতারণার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছিলো কি না এমন প্রশ্নে সাবরিনা বলেন, ‘বলেছি, আমি ডিজি স্যারকে (আবুল কালাম আজাদ) বলেছি, এডিজিকে বলেছি।’পুলিশ বলছে, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্টার চিকিৎসক হিসেবে চাকরিতে থেকেই জেকেজির চেয়ারম্যান পদে ছিলেন ডা. সাবরিনা।

জানা গেছে, নমুনা সংগ্রহের জন্য জেকেজির হটলাইন নম্বর ছিল। ওই নম্বরে ফোন করলে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করতেন। আবার অনেকে জেকেজির বুথে এসে নমুনা দিতেন।

বিদেশি নাগরিকদের জন্য নেওয়া হতো ১০০ ডলার। আর বাংলাদেশিদের জন্য সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা। যদিও দাতব্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমতির ভিত্তিতে বিনামূল্যে তাদের স্যাম্পল কালেকশন করার কথা ছিল।

জেকেজির করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ বিক্রি নিয়ে জাতীয় সংসদেও আলোচনা হয়।

সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের সংসদে বলেন, ‘জেকেজি-রিজেন্ট করোনা পরীক্ষা করার অনুমোদন পেয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগের যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে। তারা হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। এরা দায়িত্ব কীভাবে ও কতটুকু পালন করছে বা করছে না, সে বিষয় দেখভালের দায়িত্ব ছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের। তারা কী করল?

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!