DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং গনমাধ্যম নিয়ে কুটনীতিকদের বক্তব্য অগ্রহনযোগ্যঃ ড.মোমেন।

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বাংলাদেশে স্বাধীন ভাবে মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর জোর দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা সাত রাষ্ট্রদূতের সাম্পতিক বক্তব্যকে অত্যন্ত ‘দুর্ভাগ্যজনক, হতাশাজনক ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছেন অবৈধ হাসিনা সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।

শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন এ কথা বলেন।  তিনি বলেন, তাদের কোনো বক্তব্য থাকলে তারা সেটা কূটনৈতিক উপায়েই আমাদের বলতে পারতেন।

করোনাভাইরাসের মতো মহামারীর সময় নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচার নিশ্চিত করার স্বার্থে বাংলাদেশের গণমাধ্যম ও মতপ্রকাশের  স্বাধীনতার  উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বৃহস্পতিবার আলাদা আলাদা টুইট করেন- যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভেরওয়েজ, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত রবার্ট ডিকসন, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল ব্লেকেন, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোট স্লাইটার ও ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসন।

দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কূটনীতিকদের এ ধরনের কোনো ‘ভূমিকা’ দেখেননি জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, আমরা আমাদের মতো করে দেশ পরিচালনা করছি।  আমি খুবই হতাশ। এটা খুবই হতাশাজনক এবং দুঃখজনক। এটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাকস্বাধীনতার মর্যাদার সঙ্গে দায়বদ্ধতার বিষয়টি জড়িত।  তিনি বলেন, তারা যদি পোশাক শিল্পের ক্রয়াদেশ বাতিলের বিষয়ে কিছু বলেন অথবা আমাদের অভিবাসীদের নিরাপত্তা ও সহায়তা নিয়ে এবং অন্তত ছয় মাস তাদের চাকরির নিশ্চয়তা নিয়ে কথা বলেন, তবে খুশি হবে বাংলাদেশ।

এর আগে ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলার তার টুইটে লেখেন- সব জায়গায় জনস্বার্থ সুরক্ষায় অবাধ ও স্বাধীন গণমাধ্যমের নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রচারের সুযোগ থাকা দরকার। তাই মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখা যেমন জরুরি, তেমনি গণমাধ্যম কর্মীর কণ্ঠও যেন রোধ করা না হয়।

ঢাকায় যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন টুইটে লেখেন- মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখাটা এখন আরও জরুরি হয়ে উঠেছে, সেই সঙ্গে গণমাধ্যমও যেন তার দায়িত্বটা পালন করতে পারে। ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনসে তেরিঙ্ক তার টুইটে লেখেন- সংকটের সময়ে এসে গণমাধ্যমের ভূমিকা অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

জনগণের নির্ভরযোগ্য ও বাস্তবভিত্তিক তথ্য পাওয়ার সুযোগ পাওয়া প্রয়োজন। গুজব যখন সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়, সে সময়ে গণমাধ্যম কর্মীদের অবাধে ও স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেয়া উচিত। করোনাভাইরাস সংকটের সময়ে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার সুরক্ষা দেয়ার কথা উঠে আসে বাকি চার কূটনীতিকের টুইটেও।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!