ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি মিথ্যা মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদনের জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বংশাল থানার ওসিকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
খালেদা জিয়ার নামে দায়ের করা মামলাগুলো প্রত্যাহারের হুমকি এবং গায়ের মুজিব কোট ও পাঞ্জাবি ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী। রবিবার (৫ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে মামলাটি করা হয়।
আদালতের পেশকার গৌতম বলেন, ‘আগামী ২৩ জুন মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন আদালত।’
এর আগে দুপুরে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ শেষে নথি পর্যালোচনার পর আদেশ দেবেন বলে জানান।
মামলার অপর আসামিরা হলেন— বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও অজ্ঞাত পাঁচজন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ‘এ বি সিদ্দিকী ৩০ এপ্রিল সকাল ৭টায় খালেদা জিয়ার নামে দায়ের করা একটি মামলায় হাজিরা দেওয়ার জন্য রামপুরা থেকে তাঁতিবাজার মোড়ে এসে নামেন। এরপর পেছন থেকে ৪-৫ জন তার পাঞ্জাবি টেনে ধরে এবং ছিঁড়ে ফেলে। তারা বলে- তোকে পেয়েছি আর ছাড়া যাবে না, কারণ, তুই আমাদের মা ও আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা করেছিস। তোর মামলার কারণে আমাদের নেত্রী মুক্তি পাচ্ছে না। তাই তোকে আজ খুন করবো। আমদের ঊর্ধ্বতন নেতারা হুকুম দিয়েছেন। তারা বলেছেন, আমাদের বিরুদ্ধে মামলাকারী এ বি সিদ্দিকীকে যেখানে পাবি, আটক করে প্রথমে আমাদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য করবি। রাজি না হলে, ওকে গুম করে খুন করে ফেলবি। আমরা তোকে সামনে পেয়েছি। আর ছাড়া যাবে না। এখন বল মামলা প্রত্যাহার করবি কিনা?’
অভিযোগ আরও বলা হয়, ‘অজ্ঞাত লোকজন এক মাসের মধ্যে তাদের নেত্রী ও অন্য নেতাকর্মীদের মামলা প্রত্যাহারের জন্য এ বি সিদ্দিকীকে হুমকি দেয়। যাওয়ার সময় বাদীর গায়ে থাকা মুজিব কোট খুলে ফেলে এবং পাঞ্জাবির পকেটে থাকা দুই হাজার দুইশ টাকা নিয়ে যায় অজ্ঞাতরা।’
ওই ঘটনায় বাদী আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি-৫০৬, ৩৮৩, ৩৯৪, ১০৯ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন তিনি। বাদীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন রওশন আরা শিকদার ডেইজি।