DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

একুশে আগস্ট বোমা হামলার রায় হলে বিএনপি ফের সংকটে পড়বে : ওবাদুল কাদের

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ আগামী মাসে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় হলে বিএনপি আবারও চরম রাজনৈতিক সংকটে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং অবৈধ হাসিনা সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

উল্লেখ্য  বিএনপির পক্ষ থেকে বার বার এই হামলায় তাদের কোন সংস্লিষ্টতা অস্বিকার করা হলেও অবৈধ হাসিনা সরকার তাদের অভিযোগে অটল থেকে সেই মোতাবেক মামলা পরিচালনা করে আসছে।

আজ শুক্রবার (২৪ আগস্ট) সকালে মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী ও মরহুম রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানের ১৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানিয়ে এ কথা বলেন কাদের।

 

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি কোনো সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করলে জনগণই তা প্রতিহত করবে। আর একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে হয়েছে বলেও জানান তিনি।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী জনসভায় গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে তিন দিন পর ২৪ আগস্ট আইভি রহমান মারা যান। এ হামলায় ২৪ জন নিহত হয়েছিলেন।

গত ১৯ আগস্ট আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হত্যা মামলার বিচারিক আদলতের রায় দেওয়া সম্ভব হবে। রায়টি হলে দেশ আরো একটি দায় থেকে মুক্তি পাবে।

আইনমন্ত্রী আরো বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি ৫২ জন। এর মধ্যে ১৮ জন পলাতক। এ মামলায় আদালতে ২২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। এ ছাড়া মামলার এজাহারে অভিযুক্ত আসামিদের প্রত্যেককে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ আদালতে চলা মামলায় এখন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের যুক্তিতর্ক চলছে, এই মাসেই তাঁর যুক্তিতর্ক শেষ হবে। এরপরই তা রায়ের জন্য রাখা হবে। এ হামলায় দায়েরকৃত মামলার পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার আইনি এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি-জামায়াত শাসনামলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী শান্তি সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি পৃথক মামলায় আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে (চার্জশিট) মোট ৫২ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

আগামী ২৭, ২৮ ও ২৯ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আইরজীবীদের ল পয়েন্টে উত্তর ও যুক্তিতর্ক খণ্ডন শেষে মামলার রায় ও আদেশের দিন ধার্য করবেন আদালত।

৫২ আসামির মধ্যে তিনজনের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই তিন আসামি হলেন জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও শরীফ সাহেদুল আলম বিপুল।

এখন ৪৯ আসামির বিচার চলছে। এর মধ্যে এখনো বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরীসহ ১৮ জন পলাতক। বাবর, আবদুস সালাম পিন্টু, সাবেক তিন আইজিপি ও পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিন নেতা আবদুল মাজেদ বাটসহ ২৩ আসামি কারাগারে এবং আটজন জামিনে রয়েছেন। এ মামলায় ২২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সম্পূরক অভিযোগপত্রে তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ষড়ন্ত্রকারী হিসেবে আরো অনেকের নাম আসে। মামলায় মোট আসামি হয় ৪৯ জন।

একুশে আগস্টের সমাবেশে বিকেলে যখন শেখ হাসিনা বক্তৃতা দিচ্ছিলেন, তখন আকস্মিক এ হামলা চালানো হয়। এতে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ নেতাকর্মী নিহত হন। এ ছাড়া এই হামলায় আরো ৫০০ জন আহত হন। আহতদের অনেকেই চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছেন। তাঁদের কেউ কেউ আর স্বাভাবিক জীবন ফিরে পাননি। 

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!