DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন জাতির পিতার চিন্তার ফসল: শেখ হাসিনা

hill copy

ক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ   আর্থসামাজিক উন্নয়নে জাতির পিতার দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সব জায়গার সমানভাবে উন্নয়ন হতে হবে। যাতে কেউ নিজেদের বঞ্চিত মনে করতে না পারে। এই দৃষ্টিভঙ্গির আলোকে পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। আজ এর সুফল পাচ্ছেন পাহাড়ি ও বাঙালি সবাই।

রোববার রাজধানীর বেইলী রোডে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্সের ভিত্তি ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

বেইলী রোডের অফিসার্স ক্লাব সংলগ্ন দুই একরের নির্ধারিত স্থানে পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স ভবন গড়ে ওঠবে।

প্রধামন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর যেখানেই শান্তিচুক্তি হয়েছে সেখানেই তৃতীয় পক্ষের সম্পৃক্ততা ছিল। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যতিক্রম। কারও কোনও সম্পৃক্ততা ছাড়াই আমরা পার্বত্য শান্তিচুক্তি করতে পেরেছি। যার সুফল পাহাড়ি-বাঙালি সবাই পাচ্ছেন।

শান্তিচুক্তি নিয়ে দেশের ভেতরে ও বাইরে বহু ষড়যন্ত্র হয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে অস্ত্র সমর্পণের বিষয়টি ভেস্তে দিতে বিএনপি হরতালের ডাক দিয়েছিল। আর বিএনপি নেত্রী বলেছিলেন ফেনী থেকে শুরু করে পুরো পার্বত্য চট্টগ্রাম ভারতের হয়ে যাবে। তবে এসবের কিছুই হয়নি। সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে আজ সেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, পাহাড়িদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে পাহাড়িরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের সঠিক দাম পাচ্ছে। তাদের জীবনমান উন্নত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ নিশ্চিতে কয়েকশ কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করা হয়েছে। সৌর বিদ্যুৎসহ স্বাভাবিক বিদ্যুৎ সংযোগের মাধ্যমে তাদের আলোকিত করার কাজ চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে ছাত্রলীগ তাদের সঙ্গে কাজ করছে। এছাড়া পাহাড়িদের চাহিদা, দাবি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আমাদের জনপ্রতিনিধি ও সংগঠনের লোকেরা কাজ করছেন।

কমপ্লেক্স নির্মাণের পর এখানে এসেই যাতে পাহাড়ের একটি ছোঁয়া পাওয়া যায় সেজন্য নিজ উদ্যোগে ৩ বারের বেশি কমপ্লেক্সটির নকশা পরিবর্তন করেছেন বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!