DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

ইফতারের আইটেম নিয়ে ব্যাপক বৈষম্যঃএই হলো হাসিনার ইসলামিক ফাউন্ডেশন ?

iftarক্যাপ্টেন(অবঃ)মারুফ রাজুঃ নিজেদের আয়োজিত মাসব্যাপি ইফতার পার্টিতে ইফতারের আইটেম নিয়ে প্রথম রোজার দিনই ব্যাপক বৈষম্য করল ইসলামিক ফাউন্ডেশন,বাংলাদেশ।

ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা মুরগির গ্রিল, দইবড়া, কয়েকপদের ফলমূল, বরফি ,ফলের রস,শরবত ইত্যাদি দিয়ে ভূরিভোজন করলেও পথচারি এবং গরীব ছিন্নমূলদের ভাগ্যে জুটলো ছোলা, মুড়ি, পিঁয়াজু ও সাদা পানি।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে প্রতি বছর এই ইফতার আয়োজন করে ইসলামী ফাউন্ডেশন। যা চলে শেষ রোজা পর্যন্ত।

শুক্রবার প্রথম রমজানে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সর্বোচ্চ যাকাত প্রদানকারীদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান উপস্থিত হলে তার কাছে ইফারিতে বৈষম্যের বিষয়ে জানতে প্রশ্ন উপস্থাপন করতে যান ষাটোর্ধ্ব রিক্সাচালক কালাচান মিয়া। তবে প্রশ্ন করার পূর্বেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের একজন কর্মকর্তা তাকে শক্ত হাতে চেপে ধরে অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে রেখে আসেন।

কালাচান জানান, প্রতি বছর প্রথম রোজা থেকে শেষ রোজা পর্যন্ত রিক্সা চালিয়ে গ্যারেজ মান্ডায় যাবার পথে সন্ধ্যায় বায়তুল মোকারমে ইফতার সেরে নেন। আজ পর্যন্ত পিয়াজু ছোলা এবং পানি বাদে কিছুই পাননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এমন বৈষম্য চলে আসছে প্রতি বছর। মাঝে মধ্যে নাকি ইফতার করতে আসা গরিবদের সামনে ভাল ইফতারের বক্স রেখে ছবি উঠিয়ে নেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ক্যামেরাম্যান।

কালা চানের কথার সূত্র ধরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ১০০ থেকে ১৫০ লোকের সঙ্গে বসে মন্ত্রী ও মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল বোর্ডরুমের ভেতরে ইফতারি করছিলেন মুরগির গ্রীল, দইবড়া, ছানার মিষ্টি, বগুড়ার দই, কুমিল্লার রসমালাইসহ প্রায় কুড়ি আইটেম দিয়ে। ধর্মসচিব চৌধুরী মো. বাবুলসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক কর্মকর্তা সেখানে ছিলেন। ইফতার আইটেম ও উপস্থিতিদের ছবি তুলতে গেলে বাধা দেন তাদের নিজস্ব ক্যামেরাম্যান।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!