DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

শেষ পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হলো

jamatecদৈনিক প্রথম বাংলাদেশ প্রতিবেদনঃ শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল নিয়ে অবস্থান স্পষ্ট করলো নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

হাইকোর্টের আদেশের প্রায় দেড় বছর পর তারা জানালো, জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। এর আগে শুধু নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিষয়টি উল্লেখ করে বারবার এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এমনকি ওয়েবসাইটেও এ ব্যাপারে হাইকোর্টের রায়ের প্রসঙ্গটিই উল্লেখ করেছে তারা।

 

সোমবার সংসদ সচিবালয়কে ইসির জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. আতিয়ার রহমানের পাঠানো এক তথ্য বিবরণীতে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তবে হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে জামায়াত। সেটির এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

 

ফলে আপিলে হাইকোর্টের রায় বাতিল হলে জামায়াত নিবন্ধন ফিরে পাবে কি না এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ আমলে নিয়েই আমরা নিবন্ধন বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওরা যদি আপিল করে থাকে এবং যদি আপিলে জিতে তাহলে নিবন্ধন ফেরত পাবে।’

 

২০১৩ সালে ১ আগস্ট রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। সচিব আরো জানান, জাতীয় সংসদ থেকে এক প্রশ্নোত্তর পর্বের জন্য জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল কিনা তা জানাতে বলা হয়। তারই অংশ হিসেবে সোমবার ব্যাখ্যাটি সংসদ সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে।

 

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৯ সালে বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব মওলানা সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ ব্যক্তি জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে এক রিট পিটিশন দায়ের করেন। কয়েক দফা শুনানির পর হাইকোর্ট ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রায়ে, জামায়াতকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেওয়াকে আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও আইনগত অকার্যকর মর্মে ঘোষণা করায়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নামের রাজনৈতিক দলটির নিবন্ধন বাতিল হয়।

 

উল্লেখ্য, বর্তমান ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪০টি।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!