DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

বহুল আলোচিত সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর চুক্তিটি হয়নিঃশেখ হাসিনার চীন সফর কি ছিলো লোক দেখানো?

image_85660_0প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে পাঁচটি অর্থনৈতিক এবং কারিগরি ও প্রযুক্তি সহায়তা চুক্তি সই হয়েছে৷ তবে বহুল আলোচিত এবং অতীব গূরুত্বপূর্ন সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর চুক্তিটি সই হয়নি৷



সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রধানমন্ত্রী লী কিকুয়াং-এর মধ্যে রাজধানী বেইজিংয়ে এক বৈঠকের সময় এই পাঁচটি চুক্তি সই হয়৷ শেখ হাসিনা চীনা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গ্রেট হলে মিলিত হন৷



শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক জানান, মোট পাঁচটি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে৷ তবে সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর চুক্তি সই হয়নি৷



চুক্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে: চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন এবং নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির মধ্যে চুক্তি, দুর্যোগ প্রতিরোধে প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি বিনিময়ে সহযোগিতা স্মারক, বন্যা প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা সহযোগিতা এবং চীনের জন্য বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক ‘জোন’ গড়তে চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের বেপজার মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই৷



পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক জানান, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপন নিয়ে দুই দেশ আবার বৈঠক করবে৷তবে তিনি এই অতি প্রয়োজনীয় চুক্তিটি কেনো হয়নি তা জানাতে পারেননি।



এদিকে চায়না ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিআইআইএস) আয়োজিত এক সেমিনারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক ব্যবধান কমিয়ে আনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, বাংলাদেশ চীন থেকে ৬০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করছে৷ এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানির পরিমাণ ৫০ কোটি ডলারেরও কম৷



বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে চীনের অব্যাহত সমর্থনের প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে তার দেশের জনগণকে চীন আরও সমর্থন ও সহযোগিতা দেবে বলেই আশা৷



প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার চীন সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!