DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামীকে রাষ্ট্রপতির ক্ষমা প্রদানের ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের

 download (4)সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুসারে দণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা করা বা দণ্ড মওকুফ বা কমানোর ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির। রাষ্ট্রপতির এ ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে রিট করা হয়েছে হাইকোর্টে।

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদকে, অন্য কয়েকটি অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করে রোববার এ রিট করেছে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠন। সংস্থাটির পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি দায়ের করেন।

রিটে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ ২৬, ২৭, ৩১, ৩৫, ১১১ ও ১১২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক বলে ঘোষণা করা হবে না- সে মর্মে রুল জারিরও আবেদন জানানো হয়েছে। রিটে বিবাদী করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসটেটিভ অ্যান্ড ড্রাফটিং বিভাগের সচিব এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিবকে।

সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে−কোন দণ্ডের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে−কোন দণ্ড মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে’।

মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, বিচার বিভাগ কাউকে সাজা দিলেন। দেখা গেলো, পরে রাষ্ট্রপতি তাকে ক্ষমা করে দিলেন। তাহলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কি থাকলো? আর এটা মৌলিক অধিকারের পরিপন্থি।

তিনি বলেন, বিচার পাওয়ার অধিকার সবারই রয়েছে। সে হিসেবে আদালত থেকে কেউ বিচার পেলেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি যদি সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিতে ক্ষমা করে দেন তাহলেতো আবেদনকারী বিচার পেয়েও বিচার থেকে বঞ্চিত হলেন।

মনজিল বলেন, সংবিধানের কোনো অনুচ্ছেদ যদি মৌলিক অধিকারের অনুচ্ছেদগুলোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয় তাহলে সেই অনুচ্ছেদতো অবৈধ। সংবিধানের ২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘(১) এই ভাগের বিধানাবলীর সহিত অসমঞ্জস্য সকল প্রচলিত আইন যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, এই সংবিধান-প্রবর্তন হইতে সেই সকল আইনের ততখানি বাতিল হইয়া যাইবে। (২) রাষ্ট্র এই ভাগের কোন বিধানের সহিত অসমঞ্জস কোন আইন প্রণয়ন করিবেন না এবং অনুরূপ কোন আইন প্রণীত হইলে তাহা এই ভাগের কোন বিধানের সহিত যতখানি অসামঞ্জস্যপূর্ণ, ততখানি বাতিল হইয়া যাইবে। ২০[ (৩) সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের অধীন প্রণীত সংশোধনের ক্ষেত্রে এই অনুচ্ছেদের কোন কিছুই প্রযোজ্য হইবে না।]’

২৭ অনুচ্ছেদে রয়েছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী’।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!