DMCA.com Protection Status
সাফল্যের ১১ বছর

না.গঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচন: জনমতে এগিয়ে থাকা রফিউর রাব্বির মনোনয়নপত্র বাতিল

image_93766_0ঋণ খেলাপের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিউর রাব্বির মনোনয়নপত্র বাতিল করে দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।



রোববার সকালে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জানা যায়।



জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জানান, ঋণ খেলাপের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৫ (শহর-বন্দর) আসনের উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিউর রাব্বির মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।



২১ মে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মনোনয়নপত্র বিক্রির প্রথম দিনেই ফরম কিনেছেন নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছ থেকে তিনি মনোনয়নপত্র কেনেন।



গত বৃহস্পতিবার রফিউর রাব্বিসহ ৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন- জাতীয় পার্টির প্রার্থী বিকেএমইএর সভাপতি সেলিম ওসমান, সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বি, সাবেক এমপি ও নাগরিক ঐক্যের নেতা এস এম আকরাম, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন।



এছাড়া জেলা কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, ইকবাল সিদ্দিকী, বিএনএফ নেতা আবু হামিদুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুন সিরাজুল মজিদ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।



মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও জমা দেননি বিরোধী দলের নেত্রী রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ, সম্প্রতি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেয়া শামীম মিয়া, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিএম আরাফাত ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শহীদ আহমেদ সুমন।



এ উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়নি। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। তিনি নারায়ণগঞ্জে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অন্যতম বলিষ্ঠ কণ্ঠ হিসেবে পরিচিত।



জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির এক সভায় তিনি শহরে সকল সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির জন্য নাসিম ওসমানের উপস্থিতিতেই ওসমান পরিবারকে দায়ী করেন। তখন নাসিম ওসমান বলেছিলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে অতীতে যারা ওসমান পরিবারের বিরোধিতা করেছে তার কেউ টেকেনি।’  



উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ২৬ জুন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ছিল বৃহস্পতিবার। বাছাই ১ জুন। মনোনয়পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ৯ জুন।



নারায়ণগঞ্জের মেধাবী স্কুলছাত্র তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হলে ত্বকীর বাবা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বিসহ নারায়ণগঞ্জবাসীর অভিযোগের আঙুল ওঠে ওসমান পরিবারের দিকে। একপর্যায়ে সন্ত্রাস নির্মুল ত্বকী মঞ্চ গড়ে তোলেন রফিউর রাব্বী। এ মঞ্চের ব্যানারে ত্বকী হত্যার বিচার দাবিসহ নারায়গঞ্জের সকল সন্ত্রী কমর্ককাণ্ডের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হয়। গণজাগরণ মঞ্চেরও সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন রাব্বী। এভাবেই শহরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি।



গত বছরের নভেম্বরে ত্বকী হত্যা মামলার আসামি সুলতান শওকত ওরফে ভ্রমর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, ত্বকী হত্যার নেতৃত্বে ছিলেন সাংসদ (সম্প্রতি প্রয়াত) নাসিম ওসমানের ছেলে আজমিরী ওসমান। আজমিরীর অফিসেই তিনিসহ অন্যরা ত্বকীকে হত্যা করেন।



গত ২৯ এপ্রিল দিনগত রাত ১টায় ভারতের দেরাদুনের একটি হোটেলে  জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিম ওসমানের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। তিনি ১৯৮৬, ১৯৮৮, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আসনটি থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

Share this post

scroll to top
error: Content is protected !!